পাড়ার মসজিদের মাইকে ঘোষণা শুনে মামি থমকে দাঁড়ায়, হাবু'র রুমে গিয়ে দেখে হাবু নেই। জানালা দিয়ে বাইরে তাকাতেই চোখে পড়লো হাবু হেঁটে চলছে পাড়ার গলি পথ ধরে। মামি'র মনে পড়লো হাবু'র স্বপ্নের কথা। জানালায় দাঁড়িয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে নির্বাক আকাশের দিকে তাকিয়ে রইলো। প্রকৃতির নিয়মে এ এক শোকের আবহ। কাকগুলোর কা-কা ডাক যেনো শোকের বার্তা ছড়িয়ে দিলো। মসজিদের মাইকে জানাজা নামাজের সময় বলে যাচ্ছে।
( "প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে"। সূরা :আল ইমরান, আয়াত-১৮৪) ।
মুহাম্মদ আল-মামুন
লেখক জামালপুর জেলার বাড়িঘাগুড়ী, পিয়ায়পুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কৃতিত্বের সহিত পিয়ায়পুর এম .এস. কে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে এস এস সি, নাসিরাবাদ মহাবিদ্যালয়, ময়মনসিংহ থেকে এইচ, এস, সি পাশ করেন। পরবর্তীতে আনন্দ মোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, ময়মনসিংহ থেকে কৃতিত্বের সহিত অর্থনীতিতে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রী সম্পন্ন করেন ।উচ্চতর ডিগ্রী অর্জনের পর শুরু করেন কর্ম জীবন । কর্মজীবনের পাশাপাশি স্টেট ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ থেকে ফাইনান্স এন্ড ব্যাংকিং এর উপর MBA সম্পন্ন করেন। কর্মজীবনে তিনি ইস্টার্ন ব্যাংক লিঃ, স্টান্ডার চার্টার্ড ব্যাংক লিঃ, ব্রাক ব্যাংক লিঃ ও আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক লিঃ এ উর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে সুনামের সাথে কাজ করেন। এছাড়াও ব্যাংকার্স ক্লাব অফ বাংলাদেশ এর আজীবন সদস্য হিসেবে তাঁর সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রতি সচেতনতা থেকে বুঝা যায় লেখক শুধু সাহিত্য প্রাঙ্গণে নয় বরং সামাজিক কর্মকান্ডেও সমান ভাবে এগিয়ে আছেন। ছাত্রজীবন ও কর্মজীবনের পাশাপাশি লেখালেখি ছিল তাঁর ধ্যানজ্ঞান। আর তারই ধারাবাহিকতায় তার তৃতীয় প্রকাশিত বই "জেন্টেলম্যন ফাঁইসা গেছে "।