ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ নাচে গানে ভরপুর, সম্পূর্ণ রঙিন একজন মানুস অনিক খান। তবে তিনি নৃত্যশিল্পী বা গায়ক কোনটিই নয়। তিনি মূলত : ছড়াকার। অনিক খানের জন্ম ১৩ সেপ্টেম্বর ১৯৮২, ঢাকায়। অবশ্য পাসপোর্ট অনুযায়ী সালটা ১৯৮৪। আর সব প্রতিভাবান লেখকের মত তাঁরও লেখালেখির হাতেখড়ি স্কুল জীবনে। মাত্র ১৬ বছর বয়সে উন্মাদ পত্রিকায় কাজ শুরু করার পর ১৮ বছর বয়সেই প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম ছড়ার বই ‘ভালোবাসার কয়েক লাইন’ । দারুণ শুরুর পর বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের ফর্ম চলে গেলও অনিক খানের ফর্ম এখনও বহাল তবিয়তেই আছে। প্রতিনিয়ত বড় করে চলেছেন তার লেখালেখির ইনিংস।শিশুতোষ, রাজনৈতিক ও সামাজিক ছড়া তার প্রিয় বিষয় হলেও পত্রিকাওয়ালাদের চাপে প্রেমের ছড়াই লিখে থাকেন বেশি। যুগের কালিমা মুখে মেখে ২০০৩ সালে তিনি ৪ বা ৬ লাইনের পদ্যগুলোর নাম দিয়েছিলেন ‘এসএমএস কাব্য’, যেগুলো তরুণদের মাঝে বেশ জনপ্রিয়।ছড়াকার হিসেবেই নিজের পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করলেও তিনি একাধারে একজন লেখকম উপস্থাপক, আরজে এবং সম্পাদক। উন্মাদের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি নিজেই সম্পাদনা করেছেন নতুন ধারার অমূল্য পত্রিকা ‘তবুও’র। দেশের তরুণদের নিয়ে অনিক খানের আশা-আকাঙ্খার কোন শেষ নেই। তাই সম্ভাবনাময় তরুণদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড প্রতিনিয়ত তুলে ধরছেন এটিএন নিউজ চ্যানেলে তাঁর উপস্থাপিত অনুষ্ঠান ‘ইয়াং নাইট’-এ। তরুণদের প্রতি তাঁর উদাত্ত আহ্বান দেখা যায় তাঁর ছড়াতেই- বাংলাদেশের তরুণ- দুঃসাহসের বারুদ দিয়ে মস্তিষ্ক ভরুন!.. লাল সবুজের পতাকাটা শক্ত করে ধরুন।