বুক রিভিউ কম্পিটিশন চলবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। * বুক রিভিউ প্রতিযগিতা চলছে। ন্যূনতম ১৫০ শব্দের মাঝে রিভিউ লিখুন ৩০ এপ্রিলের মাঝে। * বিজয়ীর জন্য আছে লেখকের সকল বইয়ের সেট অটোগ্রাফ সহ।
ভূমিকা (লেখকের কথা): মন বড় বিচিত্র। কখনো আটকে যায় সঙ্গীর মায়ায়; কখনো থাকতে চায় নিঃসঙ্গতার মায়ায়। জীবনে নিঃসঙ্গতার মায়ায় জড়িয়ে পড়া এমনই এক মুহূর্তে হঠাৎ খুঁজে পেলাম, ‘মায়া’ কোনো সাধারণ শব্দ নয়! হররোজ খুঁজে চলা জীবনের খোঁজ যেন আছে ‘মায়া’ শব্দটির ভেতরেই! জীবন মানেই তো মায়ার (মমতা বা ভালোবাসা) কতক সুতার অস্তিত্ব ধীরেধীরে স্পষ্ট হওয়া! কখনো মায়ার (মোহ বা ইন্দ্রজাল) কবলে পড়ে সম্পর্কের সুতা হয় মোহাচ্ছন্ন; কখনোবা মায়ার (ছলনা বা কপটতা) ছোবলের তোড়ে সম্পর্কের সুতাই ছিঁড়ে যায়! তবে থেমে থাকে না জীবন। এই মায়ামণ্ডলে পরম স্থির কিছুই নেই। মায়াময় নতুন অনুষঙ্গে জড়িয়ে জীবন এগিয়ে যায় সময়ের সাথে। আসিফ মেহ্দী চামেলী কটেজ, বসন্তপুর, ঝিনাইদহ জানুয়ারি, ২০১৫
বই পরিচিতি: এক অসহ্য অনুভূতি মেয়েটিকে তাড়িয়ে বেড়ায়। তার মনে হয়, সে ঘরের মধ্যে রেপড হয়! এমন নানা চিন্তার জাল বিস্তার লাভ করে তার ব্রেনটাকে জাপটে ধরে বসে আছে। তার ধারণা, সমাজ আয়োজন করে তাকে একজনের লিগ্যাল প্রস্টিটিউট বানিয়েছে। নিজের অনিচ্ছাতেও সেই খদ্দেরকে তার সুখী করতে হবে! জিসানের সাথে তার কাগজে-কলমে বিয়ে হয়েছে ঠিকই; কিন্তু মনের দাম্পত্য কখনোই হয়নি। কই, তার কখনোই তো ভালোবেসে মানুষটিকে কাছে টেনে নিতে ইচ্ছা করেনি। টানহীন-মায়াহীন এই সংসার আর কতটা টেনে নিতে হবে, তার জানা নেই।
লেখক পরিচিতি: সাহিত্যের প্রতি আসিফ মেহ্দীর ঝোঁক ছাত্রজীবন থেকেই। দেশসেরা দুই ফান ম্যাগাজিন ‘উন্মাদ’ ও ‘রস আলো’তে লেখার সুবাদে রম্যলেখক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন আগেই। সেই সূত্রে প্রথম বইটাও রম্যগল্পের। ‘বেতাল রম্য’ নামের সেই বইয়েই আসিফ মেহ্দী লাভ করেন তুঙ্গস্পর্শী জনপ্রিয়তা। এরপর একে একে প্রকাশিত তাঁর প্রতিটি বই শুধু পাঠকপ্রিয়তাই লাভ করেনি, উঠে এসেছে বেস্ট সেলার বইয়ের তালিকায়। সাম্প্রতিক সময়ে লিখছেন দেশসেরা কিশোর ম্যাগাজিন ‘কিশোর আলো’তে। ব্যঙ্গ আর হাসির সঙ্গে গভীর জীবনবোধের প্রতিফলন ঘটিয়েই আসিফ মেহ্দী এ সময়ের জনপ্রিয় লেখকদের কাতারে নিজের অবস্থানটা বেশ পাকাপোক্ত করে ফেলেছেন। আসিফ মেহ্দীর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা নয়। উপন্যাস: মায়া (২০১৫), অপ্সরা সায়েন্স ফিকশন: এলিমোন (২০১৫), সাই-ফাই ত্রয়ী (২০১৫), হিগস প্রলয়, ফ্রিয়ন ন্যানো কাব্য: ন্যানো কাব্য, ন্যানো প্রহর রম্যগল্প: বেতাল রম্য এসএসসি ও এইচএসসি দুই পরীক্ষাতেই ঢাকা বোর্ডে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্ট্যান্ড করেছেন আসিফ মেহ্দী। বুয়েট-এ ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করেছেন। ৩৩তম বিসিএস পরীক্ষায় নিজ ক্যাডারে ১ম স্থান অধিকার করে বর্তমানে বাংলাদেশ বেতারের গবেষণা ও গ্রহণ কেন্দ্রে সহকারী বেতার প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আসিফ মেহ্দীর বইগুলো সম্পর্কে আরও বিস্তারিত পাবেন তাঁর ওয়েবসাইটে (www.asifmehdi.com)।
বইটির উৎসর্গপত্র: জীবনের ক্যাটালগে আছে অ্যানালগ মায়া; আছে ডিজিটাল মায়া। অ্যানালগ মায়া গড়ে পৃথিবীর কায়া; কিন্তু ডিজিটাল মায়া ছায়াসর্বস্ব! অ্যানালগ এই জীবনে আনন্দ-বেদনা-উৎসবের ক্ষণে কিছু প্রিয়মুখ পাশে পাই। তাদের সংস্পর্শ আনন্দকে করে পূর্ণ; বেদনাকে করে চূর্ণ। শুভকামনা সেই দুই দম্পতির জন্য- আতিক মেহ্দী ও ত্রিষামা রেজওয়ানা। তারেক মেহ্দী ও আজবীনা রহমান।
বুলবুল সরওয়ার
জন্ম গোপালগঞ্জে। ১৯৬২’র ২৭শে নভেম্বর। ৯ ভাইবোনের মধ্যে কনিষ্ঠ। মিশনারি স্কুলের প্রভাবে অসাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা তার মজ্জাগত। পরিবারেও ছিল শিল্প-সাহিত্যের আবহ। বিশেষত বাবার প্রভাব এবং বড় তিন ভাইয়ের উৎসাহ তাকে শেষপর্যন্ত সাহিত্যেই থিতু করে দিয়েছে। লেখালেখি শুরু শৈশবে। আজাদ-ইত্তেফাক থেকে শুরু করে দেশের অধিকাংশ দৈনিক ও সাময়িকীতে লিখেছেন। কলকাতা-আসামেও সমান জনপ্রিয়। ১৯৮৯তেই ভারত থেকে প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ ‘হিটলারের লাশ’ ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। এ পর্যন্ত প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ২৬। লিখেছেন কবিতা, গল্প, শিশুসাহিত্য, পত্রকথা। অনুবাদও কম নয়; ১৫টি বিশ্বসেরা উপন্যাস। ভ্রমণে তার বিশেষ মুনশিয়ানা। জনস্বাস্থ্যের অধ্যাপক বুলবুলের প্রিয় বিষয় চিঠি, আড্ডা, কফি এবং নজরুল। স্ত্রী দিলরুবা মনোয়ার, কন্যা আয়েশা তাজিন মাশরুবা ও পুত্র আয়হান নাভিদ নওরোজকে নিয়ে বাস করেন ঢাকার শ্যামলীতে।