মুহাম্মাদ আতীক উল্লাহ। শিক্ষক পিতা ও গৃহিনী মায়ের চতুর্থ সন্তান। খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়িতে জন্ম। শৈশব ও কৈশাের কেটেছে পাহাড়ঘেরা পার্বত্য জনপদে, বনবাদাড়ের ভয়জাগানাে আদিম পরিবেশে, স্রোতস্বিনী পাহাড়ী নদীর উত্তাল স্রোতে সাঁতার কেটে, বহু উপজাতির নানাবিধ বৈচিত্র্যময় সমাজে, পিত্রালয় ও মাতুলালয় ফেনীর ভাবগম্ভীর ধর্মীয় আবহে। পড়াশােনার সূত্রে সময় কেটেছে গ্রামবাঙলার নিতান্ত পল্লীর নিটোল গ্রামীণ পরিবেশে, প্রাচীন ধারার কওমী মাদরাসার আমলি আবহে।। পড়াশােনার হাতেখড়ি বাবা-মায়ের কাছে। মাদরাসা জীবন কেটেছে, মামা মাওলানা সাইফুদ্দীন কাসেমী (দা বা)-এর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে। তিনি হাকীমুল উম্মতের এর অন্যতম প্রধান খলীফা মাওলানা মাসীহুল্লাহ খান জালালাবাদী রহ.-এর খাস সােহবতপ্রাপ্ত। ফেনীর ঐতিহ্যবাহী জামিয়া মাদানিয়ার প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম। ফলে মুহাম্মাদ আতীক উল্লাহ বেড়ে উঠেছেন খানকাহী মেজাজে, সুনিপুণ তরবিয়তের মধ্য দিয়ে। ছােটবেলা থেকেই তার মাঝে দাওয়াত, তালীম, জিহাদ ও খিলাফাহ আলা মিনহাজিন নুবুওয়াতের প্রতি আগ্রহ পরিলক্ষিত হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের সামরিক শাসন ও শান্তিবাহিনীর দৌরাত্মে সৃষ্টি হওয়া টানটান উত্তেজনাময় নব্বইয়ের দশক তার মনমননে গভীর রেখাপাত করেছে। পাশাপাশি এই দশকের অবিস্মরণীয় ঘটনা, আফগান জিহাদ তাকে দিয়েছে ভিন্নধর্মী এক চেতনা। বিশ্ব রাজনীতি ও মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে তার আছে গভীর পাঠ। চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া পটিয়া থেকে তিনি তাকমীল (দাওরায়ে হাদীস) সমাপ্ত করেছেন। কুরআনের প্রতি তাঁর অপরিসীম ভালােবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন মাদরাসাতুল কুরআনিল কারীম প্রতিষ্ঠা করে। যার অন্যতম লক্ষ্য কুরআনের আলােয় আলােকিত সমাজ
মুহাম্মাদ আতীক উল্লাহ স্বভাবগতভাবে নিভৃতচারী হলেও কাছের মানুষরা জানে তিনি বেশ রসিক। বই পড়া তার পেশা ও নেশা। তার পড়াশােনার ব্যাপ্তি ছুঁয়ে গেছে ধর্মীয় ও জাগতিক জ্ঞানের বিভিন্ন শাখাকে। অনলাইনে পঞ্চাশেরও অধিক শিরােনামে ধারাবাহিক লেখা লিখে চলছেন। বিরামহীনভাবে তার লিখিত জীবন জাগার গল্প সিরিজের লেখাগুলাে বেশ সুখপাঠ্য। পাঠক অবচেতনমনেই আকৃষ্ট হয়। কুরআনের প্রতি ইতিহাস বিষয়ক তাঁর লেখাগুলাে আমাদেরকে জাগিয়ে তােলে গাফলাতের সুখনিদ্রা থেকে। উদ্বুদ্ধ করে সম্মুখপানে এগিয়ে যেতে। আল্লাহ তাঁর কলমকে আরও শাণিত করুন। গােটা বিশ্বকে কুরআনি আলােয় আলােকিত করুন।