শীতের অবকাশ যাপনের জন্য গগন নামের ছেলেটা নিকট স্বজনদের সাথে বান্দরবান বেড়াতে গিয়েছিল। রিসাের্টে এক রাতে খুন হয়ে গেল সে! কে বা কারা তীক্ষ একটা কিছু দিয়ে তার দেহটা এফোঁড়-ওফোঁড় করে দিয়েছে। লােকাল থানার ওসি ইন্সপেক্টর লােকমান ভেবে পাচ্ছিলেন না— কী কারণে আর কার হাতে গগনকে এই নির্মম পরিণতির শিকার হতে হলাে। তারপর রিসাের্টের একজন অতিথি ঘটনাস্থলে এসে হাজির হলেন। তিনি আর কেউ নন, খ্যাতিমান গােয়েন্দা অলােকেশ রয়। অলােকেশ কি পারবেন জটিল এই রহস্যের কিনারা করতে? গুপ্তি গল্পটি এই থ্রিলার গল্পগ্রন্থের উজ্জ্বলতম সংযােজন। সাতটি ভিন্নধর্মী তদন্ত কাহিনির সমাবেশ ঘটেছে এই গল্পগ্রন্থে। প্রতিটি গল্পের মূলে রয়েছে হত্যারহস্য ও তার বিস্ময়কর সমাধান। এভাবেই খুন হয়ে যায় নামক গল্পে তদন্ত কর্মকর্তারা নামেন বুলেট নামের এক তরুণের হত্যারহস্য উন্মােচন করতে। শ্বাসরােধ করে কে যেন মেরেছে তাকে। খুন-খারাপি গল্পটিতে দেখা যায় শীতলক্ষ্যার পানিতে ভেসে উঠেছে অপরিচিত এক তরুণের লাশ। সারা শরীর ক্ষত-বিক্ষত। পুলিশের সন্দেহ এই লাশ জুম্মনের। কে। এভাবে মারল তাকে? ওদিকে মরণছােবল গল্পে চৌকশ কাস্টমস কর্মকর্তা ফারাবী অকস্মাৎ মারা গেলেন? কী ছিল এই অদ্ভুত মৃত্যুর নেপথ্যে? বইটির প্রতিটি গল্পের শেষ পর্বে এসে পাঠক বিস্মিত হবেন। একটি গল্পের উস্কর্ষ যেন ছাড়িয়ে গেছে অন্যটিকে। জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক অরুণ কুমার বিশ্বাসের গল্পগ্রন্থ গুঞ্জি থ্রিলার সাহিত্যের জগতে এক ব্যতিক্রমী প্রয়াস।
অরুণ কুমার বিশ্বাস
অরুণ কুমার বিশ্বাসের জন্ম ২৭ ডিসেম্বর, ১৯৭৭ গােপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়ায় জহরের কান্দি গ্রামে। এসএসসি ইস্ট কোটালীপাড়া ইউনিয়ন হাই স্কুল, ১৯৯৩। এইচ,এস,সি নটরডেম কলেজ, ঢাকা, ১৯৯৫। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে সম্মানসহ এম এ, ২০০১। মেধার স্বীকৃতি হিসেবে নটরডেম কলেজ থেকে পেয়েছেন অ্যাওয়ার্ড ফর এক্সেলেন্স। শুল্ক বিভাগের ডেপুটি কমিশনার এই লেখক সম্প্রতি ইংল্যান্ডের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত লন্ডন মেট্রোপলিটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিউম্যান রিসাের্স ম্যানেজমেন্টে মাস্টার্স ডিগ্রী (পাস উইদ মেরিট) অর্জন করেন। ব্র্যান্ড একুইটি মডিউলে পান ডিসটিশন নম্বর। কলেজে পড়ার সময় থেকে নিয়মিত লিখছেন। ছড়া, কবিতা, ছােটগল্প, উপন্যাস, রম্যরচনা, গােয়েন্দা কাহিনী । উল্লেখ্য, কিশাের উপন্যাসে তিনি বিশেষ স্বচ্ছন্দ। প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা পঁচিশ বলতে গেলে পাড় পাঠক তিনি। বিশ্বসাহিত্যের সকল ভাষা ও শাখায় বিচরণ করে অমিত আনন্দ পান। গর্সিয়া মার্কেজ থেকে দস্তয়েভস্কি, এরিস্টটল থেকে স্টিফেন হকিংস, তদুপরি বাংলা সাহিত্যের অফুরান রসভাণ্ডার তাকে সারাক্ষণ আবিষ্ট করে রাখে। তিনি লিখতে ভালবাসেন, তবে পাঠের আনন্দ অবিমিশ্র, অসীম।ভ্রমণ তার প্রিয় শখ, খানিকটা নেশার মতাে। নতুন দেশ, নতুন মানুষ তার গবেষণার বিষয়। ভ্রমণ করেছেন ইংল্যান্ড, ওয়েলস, দুবাই ও সাউথ আফ্রিকা। জীবনটাকে স্রেফ সরাইখানা মেনে কোথাও শেকড় গেড়ে থিতু হবার বাসনা নেই একদম । এমনি করে যায় যদি দিন যাক না!