ইহাম হতভম্ব হয়ে গেল। এটাই কি তবে ক্যাপ্টেন রবার্টসের গুপ্তধনের সিন্দুক? ওদিকে আরিয়া চিৎকার করে বলে যাচ্ছে, ‘ভাইয়া, জলদি। জলদি চলে এসো।’
‘পেয়েছি! আমি পেয়েছি!’ ইহাম চিৎকার করে বলে উঠল। ‘আমি গুপ্তধন খুঁজে পেয়েছি। রবার্টসের সিন্দুক খুঁজে পেয়েছি।’ আরিয়া বলল, ‘জাহান্নামে যেতে দাও গুপ্তধন। আমাদের এখনই এখান থেকে যেতে হবে। ঝড় আরো বাড়ছে। সবকিছু লণ্ডভণ্ড করে ফেলবে এই ঝড়।’
ইহাম সিন্দুক থেকে চোখ ফেরাতেই পারছিল না। কী আছে এই সিন্দুকে? স্বর্ণ? রুপা? নাকি বহু মূল্যবান পাথর? কী আছে? আরিয়া ইহামকে ডাকতে লাগল। ‘ফিরে এসো! ফিরে এসো ভাইয়া!’
কিন্তু আরিয়ার কোনো কথাই এখন ইহামের কানে ঢুকছে না। সে অপলকভাবে সিন্দুকের দিকে তাকিয়েই আছে। হঠাৎ কী ভেবে সিন্দুকের উপরে জমে থাকা কাদামাটি হাত দিয়ে মুছে পরিষ্কার করতে লাগল।
‘ভাইয়া, ভাইয়ারে, সিন্দুকের কথা ভুলে যাও।’ আরিয়া অনেকটা কাঁদতে কাঁদতে বলল। ‘আমাদের এখনই যেতে হবে, নইলে অনেক দেরি হয়ে যাবে।’
এমন সময় পাখি বলে উঠল। ‘চলে যাও, ইহাম।’ অদ্ভুত ব্যাপার, কণ্ঠটি পাখির মতো নয়। মনে হল কোনো এক মানুষ কথাটি ইহামকে বলেছে।