চন্দ্রিমা চাঁদের মতোই স্নিগ্ধ কোমল একটা মেয়ে। বাবা আদিল এবং মা মিতার পাশাপাশি ফুপু দূর্দানার আদর এবং স্নেহের ছায়ায় বড় হয়। ফুপুর দুই ছেলে অনন্য এবং পূর্ণ ও তার সহোদর ভাইয়ের মতো ছোট বেলা থেকে অনন্যর কাছে চন্দ্রিমা ছোটবোন হলেও বয়ঃসন্ধিতে এসে এর রং পাল্টে যায় পূর্ণর কাছে। মনের অগোচরে ভালোবেসে ফেলে সে চন্দ্রিমাকে। সে ভালোবাসায় সাড়া দেয় চন্দ্রিমাও। দুজনে সারারাত জেগে স্বপ্ন বুনে পড়ালেখা শেষ করে পরস্পরকে কাছে পাওয়ার। ইতোমধ্যে চন্দ্রিমাকে অনন্যর বিয়েতে দেখে পছন্দ করে অনন্যর বন্ধু।ঘটে যায় অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। কী হয় তাদের সাথে? তাদের স্বপ্ন কী পূরণ হবে? নাকি অধরাই থেকে যাবে? দিহান, চন্দ্রিমা, পূর্ণ এই তিনজনকে নিয়ে এই কাহিনী এগিয়ে গেছে। সাথে আরো একজন আছে "আলাপ"। মানুষের জীবনের চাওয়া, পাওয়া, আশা, বঞ্চনার রোমান্টিক কাহিনী এই "গ্রহণকাল"।
শামীমা নাসরিন
শামীমা নাসরিন। জন্ম ১লা সেপ্টেম্বর ১৯৬৪ চট্টগ্রামের বোয়ালখালী থানার পূর্ব গোমদণ্ডীর বিখ্যাত এবং বনেদি কাজী আব্দুল হাকিমের পরিবারে। ব্যাংক কর্মকর্তা বাবা এবং সাহিত্যানুরাগী মায়ের সন্তান শামীমা নাসরিন চার ভাই দুই বোনের সর্বকনিষ্ঠা। পাঠের বিষয়বস্তু অর্থনীতি হলেও মাতৃসূত্রে পাওয়া সাহিত্যের প্রতি গভীর আকর্ষণ তাকে ছোটবেলা থেকে তাড়িয়ে বেড়িয়েছে। এই তাড়না থেকেই বিভিন্ন সময় স্কুল এবং কলেজের বিভিন্ন প্রকাশনায় তিনি লেখালেখি করে গেছেন। পেশায় গৃহিণী শামীমা নাসরিন সাংসারিক দায়বদ্ধতায় বেশ কিছুদিন লেখালেখির জগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকলেও জীবনের বিশেষ বিশেষ মুহূর্তগুলি স্মরণীয় করে রাখার তাগিদে আবার কলম ধরলেন জলতরঙ্গ উপন্যাসটির মাধ্যমে। এই লেখাটির মাধ্যমে তিনি একটি বৃহত্তর পরিবারের উত্থান-পতনের পাশাপাশি অখণ্ড ভারতবর্ষের ইতিহাস এবং আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসও তুলে ধরেছেন।