রাতের মেঘহীন আকাশের দিকে তাকালে অজস্র তারা দেখা যায়। আকাশের তারা চেনা না থাকলে রাতের আকাশ দেখার নিবিড় আনন্দ ও শিহরণ পাওয়া সম্ভব হয় না। সূর্য-পরিবারের বা আমাদের সবচেয়ে কাছের তারা প্রক্সিমা সেন্টরীর দূরত্ব প্রায় ৪ আলোকবর্ষ। আমাদের খুব আশপাশে প্রাণ ধারণের উপযোগী গ্রহও এখনো পর্যন্ত মেলেনি। তবে এখন পর্যন্ত পৃথিবীর সমান্তরাল বা বড় আকৃতির নানা গ্রহজগতের সন্ধান পেয়েছেন। এর কোনোটি প্রাণ উপযোগী কিংবা মানুষের বসবাস উপযোগী কিনা সে বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা আসেন নি। কিন্তু মঙ্গল, বৃহস্পতি, শুক্র সম্পর্কেওবা আমরা কতটুকু জানি। চার-পাঁচ হাজার বছর আগে মিশর, ব্যাবিলন, গ্রিস, ভারত ও চীনে আকাশ ও তারাচর্চা শুরু হয়েছিল। তারই ফসল আজকের আকাশভ্রমণ। তবে হাজার চার-পাঁচ বছর আগে থেকে আজ পর্যন্ত যা জানা গেছে তার একটি সহজ, সংক্ষিপ্ত ও জনপ্রিয় কথামালা এই বইয়ে পরিবেশন করা হয়েছে। একজন বিচিত্রকথিক কথাসাহিত্যিকের এই অসামান্য পরিবেশনা। আমাদের কালের অনন্যসাধারণ বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং-এর কথাও এতে আছে। এই গ্রন্থ প্রাচীন ও নবীন মেধা, মনন ও কল্পনার কথার সমাহার। মুক্ত বাতায়ন। আকাশদ্রষ্টা পাঠকদের বইটি সংগ্রহে রাখার মতো। আর জ্যোতির্বিজ্ঞানচর্চাকারীর তো বটেই।
বিপ্রদাশ বড়ুয়া
বিপ্রদাশ বড়ুয়া, জন্ম ২ আশ্বিন ১৮৬২ শকাব্দ (২০ সেপ্টেম্বর ১৯৪০) চট্টগ্রামের ইছামতী গ্রামে। পড়াশুনা চট্টগ্রাম, রাঙামাটি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। গল্প, উপন্যাস, প্রকৃতি ও বিচিত্র বিষয়ে লেখেন। পাখি, সমুদ্র ও বৃক্ষ, বনমর্মরভূমি, ভ্রমণ, গবেষণা-বিশাল লেখার ভুবন। বাংলাদেশের আনাচ-কানাচ উঠে আসে দৈনিক পত্রিকার কলামে। রাতের রেলগাড়িতে ছায়াপথে ভ্রমণ এই বিষয়ে প্রথম পদক্ষেপ বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের বিশাল রাজ্যে প্রবেশের ছোট্ট জানালা। সেই থেকে শুরু। তার ফসল দৈনিক পত্রিকার সহজ-সরল লেখাগুলো। প্রকৃতির বিচিত্র বিষয় নিয়ে এক ডজনের বেশি বই প্রকাশিত হয়েছে। গাছপালা, তরুলতা ও বৃক্ষ ও নিসর্গ, নিসর্গের খোঁজে, প্রকৃতিও প্রতিশোধপরায়ণ, বিপন্ন বাংলাদেশ ও বন্ধু বৃক্ষ প্রভৃতি গ্রন্থে তাঁর মনোভঙ্গি ধরা পড়ে। এসব লেখায় ছড়িয়ে আছে আকাশ ও নক্ষত্রপ্রীতি। ১৯৯১-তে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, ১৪১১ সনে বাংলাদেশ শিশু একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার লাভ। তাঁর তিনটি বই অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কার লাভ করে। পেয়েছেন রেডি টুডে প্রবর্তিত প্রথম গ্রিন এওয়ার্ড ২০১০।