গ্রে লেডি অব বাগরাম
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে চলা কথিত যুদ্ধের নামে ড. আফিয়া সিদ্দিকীকে ২০০৩ সালে তিন সন্তানসহ আইএসআই অপহরণ করে এফবিআই এর হাতে তুলে দেয়। অপহরণের পর থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানের বিভিন্ন কারাগারে আফিয়া সিদ্দিকীকে পাশবিক, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। এরপর তাকে আফগানিস্তানে নাটকীয়ভাবে গ্রেফতার দেখানো হয়। ২০১০ সালে মার্কিন আদালতে অন্যায়ভাবে ৮৬ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আফিয়া সিদ্দিকী: গ্রে লেডি অব বাগরাম বইটি আফিয়ার জীবনকর্ম, অপহরণ, গ্রেফতার নাটক, সন্তানদের অবস্থা, মামলা, কারাদণ্ড এবং বর্তমান অবস্থা নিয়ে লেখা।
বইটি সময়ের দাবি ছিল। এক কথায় অসাধারণ। আফিয়া সিদ্দিকী সম্পর্কে অনেক রিউমার ছড়ানো হয়েছে অনলাইনে। যার অনেকগুলোই মিথ্যা। বইটির মাধ্যমে জানতে পারলাম। কমবেশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনের খবর যারা রাখেন, তারা আফিয়া সিদ্দিকী কে চিনে থাকবেন। আর যারা নাম শুনেছেন, কিন্তু খুব বেশি চেনেন না, তারা বইটিতে তার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি পাবেন। আফিয়া সিদ্দিকিভএকেবারে যাদের কাছে অচেনা, তাদের জন্য এতোটুকু বলছি আফিয়া সিদ্দিকী একজন পাকিস্তানি নাগরিক, যিনি তার লেখাপড়া এবং পরিণত বয়সের অনেকটা সময় কাটিয়েছেন আমেরিকাতে। 2003 সালের মার্চ মাসে করাচি থেকে ইসলামাবাদে যাওয়ার সময় আফিয়া তার তিন সন্তানসহ নিখোঁজ হন। কথিত আছে তিনি মূলত পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই কর্তৃক অপহত হন। পরবর্তীতে ৯/১১ এর সূত্র ধরে তাকে জঙ্গি তৎপরতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে আমেরিকানদের হাতে তুলে দেয়া হয় এবং পরবর্তীতে 86 বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে আফিয়ার উপর আমেরিকান কর্তৃপক্ষের অমানবিক নির্যাতনের খবর ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। অধিকাংশ তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে সাধারণ মানুষের ধারণা জন্মে ডা.আফিয়ার উপর উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মিথ্যা অভিযোগ চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। পাকিস্তান ও আমেরিকান সরকারের অভ্যন্তরীণ কিছু জটিল বিষয় এর সঙ্গে সম্পৃক্ত। এরপর থেকে আফিয়ার মুক্তির দাবি বিভিন্ন আন্দোলন শুরু হয় ভার্চুয়াল জগতে। বইটি আফিয়ার ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে বর্তমান অবস্থা পর্যন্ত বিভিন্ন তথ্যসমৃদ্ধ। বইটির অধিকাংশ তথ্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট সামাজিকমাধ্যম থেকে নেওয়া। আফিয়া সিদ্দিকির বোন ডাক্তার ফাওজিয়া সিদ্দিকীসহ তার পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং ঘটনা সংশ্লিষ্ট আরো অনেকের সাক্ষাৎকারও যুক্ত রয়েছে বইটিতে আছে। আফিয়া সিদ্দিকীর গ্রেফতারের ইস্যূ নিয়ে কারো জানার আগ্রহ থাকলে তার জন্য আদর্শ একটি মাধ্যম হতে পারে এই বই। তাই বলব সিদ্দিকী সিদ্দিকী সম্পর্কে জানতে এবং আমেরিকানদের নিকৃষ্ট বিষয় এখানে তুলে ধরা হয়েছে তাই আমি বলব সকলেরই বইটি পড়া উচিৎ।
আফিয়া সিদ্দিকী - গ্রে লেডি অব বাগরাম বইটিতে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে চলা কথিত যুদ্ধের নামে ড. আফিয়া সিদ্দিকীকে ২০০৩ সালে তিন সন্তানসহ আইএসআই অপহরণ করে এফবিআই এর হাতে তুলে দেয়। অপহরণের পর থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানের বিভিন্ন কারাগারে আফিয়া সিদ্দিকীকে পাশবিক, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। এরপর তাকে আফগানিস্তানে নাটকীয়ভাবে গ্রেফতার দেখানো হয়। ২০১০ সালে মার্কিন আদালতে অন্যায়ভাবে ৮৬ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আফিয়া সিদ্দিকী: গ্রে লেডি অব বাগরাম বইটি আফিয়ার জীবনকর্ম, অপহরণ, গ্রেফতার নাটক, সন্তানদের অবস্থা, মামলা, কারাদণ্ড এবং বর্তমান অবস্থা নিয়ে লেখা। খুবই অল্প সময়ে ব্যাপক জনপ্রিয় একটি বই।