ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ বিট্রিশ ঔপনিবেশিক যুগে পূ্র্ববঙ্গের মানুষ স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম শুরু করার আগে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করে। গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রামের আগে থেকে চলে গণ মাধ্যমের স্বাধীনতার লড়াই। স্বাধীনতা গণতন্ত্রের আকাঙ্খা সমাজ ও জাতির চেতনার গভীরে পৌঁছে দিতে গণমাধ্যম পালন করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। রাষ্ট্রের প্রকৃত স্বাধীনতা এসেছে একাত্তর সাথে রক্তনদী পেরিয়ে। এরপর বার বার বিপন্ন হয়েছে গণতন্ত্রের অস্তিত্ব ; এর সঙ্গে গণ মাধ্যমের স্বাধীনতাও। গণতান্ত্রিক চেতনার উন্মেষের সময়,গণতন্ত্রের যাত্রাপথে আঘাতে প্রত্যাঘাতে ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে গণমাধ্যম। এখনও হয়েছে। নব্বইয়ের দশকের শুরুতে গণমাধ্যমবিরোধী সমালোচিত আইনের তিনটি ধারা বাতিল হয়। এরপরও গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণে সরকার হাতে অধ্যশতাধিক আইনি পদ্ধতি রয়েছে। এসব আইনে চলে নিপীড়ন। বন্ধ হয়ে পত্রিকার প্রকাশনা, টিভি চ্যানেলের সম্প্রসার। রক্তাক্ত হন সাংবাদিক ও পত্রিকার পাতা। গণ মাধ্যম নিপীড়ন ১৯৭২-২০১২ বাংলাদেশের গণমাধ্যম দলনের ইতিহাসের প্রথম খণ্ড । বইটিতে আছে বারোটি অধ্যায়: স্বাধীনতার পর থেকে এপর্যন্ত সব সরকারের সময়কার নিরপেক্ষভাবে গণমাধ্যম নিষ্পেষনের চিত্র সেগুলোতে উঠে এসেছে। পুরো বাংলাদেশ সময়ে গণমাধ্যমের নিপীড়ন বিষয়ে এটিই একমাত্র বই। আর কোনো বইয়ের এ বিষয়ের পূণার্ঙ্গ চিত্র উঠে আসেনি। বইটি তথ্যবহুল। সংবাদকর্মী, সাংবাদিকদের জন্য খুব দরকারি। বলা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতার শিক্ষার্থীদের জন্য অবশ্য পাঠ্য।
সূচিপত্র * অধ্যায় এক: সাংবাদিক ,প্রকাশক বঙ্গবন্ধুর সরকার * অধ্যায় দুই: জিয়ার সরকারের প্রকাশনার সুযোগ এবং….. * অধ্যায় তিন: কবি, স্বৈরাচারী এরশাদের কালে ভয়ংকর জনপদ * অধ্যায় চার: গণতন্ত্রের যাত্রাকালে সবকটা জানালা খোলেনি * অধ্যায় পাঁচ: সেই পুরনো ছবি * অধ্যায় ছয়: সরকারের নতুনত্ব ,নির্যাতনের নতুন মাত্রা * অধ্যায় সাত: সেনাসমর্থিত অগণতান্ত্রিক শাসনের দুই বছর * অধ্যায় আট: আবার আওয়ামী লীগ, ’০৯-১২’ * অধ্যায় নয়: সরকার বনাম দৈনিক আমার দেশ * অধ্যায় দশ: ২৮৮ দিন কারাবন্দি সম্পাদক মাহবুবুর রহমান * অধ্যায় এগার: পাকিস্তান আমল থেকে এখনও সামরিক কৌশলে নিপীড়ন * অধ্যায় বারো: পরশ্রিত বামদের পত্রিকা