'গল্পটির বাকি অংশ'-এর শুরুটা হয় পরকীয়ায় মত্ত থাকা একজন মায়ের নিজ সন্তান হত্যার ভাবনা দিয়ে। কীভাবে হত্যা করবে! হত্যার অস্ত্র কী হবে? এমন কয়েকটি বাক্য আগ্রহী করে তোলে পুরো উপন্যাসটি পড়ার জন্য।
আরিফ ও এশার মধ্যে সম্পর্ক। সম্পর্কের নাম পরকীয়া। উপন্যাসের প্রথম অংশে লেখক দেখান- একটি পোটলা নিয়ে এশার বাসায় ডোকে আরিফ। যেটির ভেতরে রয়েছে, দুহাত পরিমাণ দড়ি। একটি ধারালো ছুরি। একটি বিষের শিশি। একটু পরেই কাহিনির মোড় ঘুরে যায়। অফিসট্যুর ক্যান্সেল হওয়ায় বাসায় ফিরে আসেন এশার স্বামী। এরপর কী ঘটেছিলো?
এ উপন্যাসের প্রধান চরিত্র রঘু। একটি রোমাঞ্চকর উদ্ধার অভিযানের ভেতর দিয়ে তার চরিত্রায়ন ঘটে। যেখানে আটকা থাকে প্রজাপতির মেয়ে প্রিয়ন্তি। রঘুর ও প্রজাপতির সম্পর্কটা এশা ও আরিফ সম্পর্কের প্রতিবিম্ব। পার্থক্যটা শুধু এখানেই- কেউ সম্পর্কের টানে সন্তান হত্যা করতে দ্বিধাবোধ করে না আর কেউ সম্পর্কের টানে সন্তান বাঁচাতে নিজের জীবনের কথা একবারও ভাবে না। এ সম্পর্কগুলোর পরিণতি শেষ পর্যন্ত কী হয়েছিলো?
উপন্যাসের পার্শ্বচরিত্র আদি ও দেবি। কুড়িয়ে পাওয়া ফটোর সূত্র ধরে একে অন্যের পরিচয় ঘটে অফিসার্স ক্লাবে। আদি রঘুর বন্ধু। ডিবি ফোর্স সন্দেহভাজন অফসার্স ক্লাব থেকে দেবিকে ধরে নিয়ে যায়। ডাবলমার্ডারের মামলা। এরপর ঘটনা কীভাবে মোড় নেয়?
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের নাম অনামিকা। প্রজাপতির বান্ধবী সে। রঘু ও প্রজাপতি সম্পর্কের ব্রিজও বলা যেতে পারে তাকে। এ ব্রিজ কখন, কীভাবে, কেন কাজ করে?
এসব প্রশ্নগুলোর উত্তর জানতে হলে আপনাকে পড়তে হবে 'গল্পটির বাকি অংশ'।
★ উল্লেখযোগ্য উক্তি:
১। এখনকার প্রেমিক-প্রেমিকা কাউকে সালাম দেয় না। সালাম বিনিময় হয় হাসিতে।
২। প্রেম মানুষকে মিথ্যা বলতে শেখায়। অবশ্য এ যুগে মিথ্যা বললে প্রেমিকাকে কাছে পাওয়া সহজ হয়।
৬। ভালোবাসা আর বিশ্বাস যদি একবার কারো আস্থা অর্জন করে, দেখবে তার সব কথা মধুর লাগবে। সে যদি মিথ্যে বলে তাও তুমি সত্য মনে করবে।
এই উপন্যাসের কাহিনি প্রসঙ্গে একটি নির্মল সুন্দর চিঠি ও বারবার পাঠ করে মুগ্ধ হবার মতো কয়েকটি কবিতা এবং কয়েকটি ফেসবুকস্টেটাস উপস্থাপন করা হয়েছে। যা উপন্যাসের স্বাদ বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে।
জামশেদ নাজিম
জামশেদ নাজিম। পেশায় সাংবাদিক। মূলত পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সমাজের নানান অসঙ্গতি ও অবক্ষয়ের মুখোমুখি হতে হয় তাকে। সেসব ঘটনাগুলোই যেন 'গল্পটির বাকি অংশ'-এ তুলে ধরেছেন তিনি। এটি তার প্রকাশিত দ্বিতীয় উপন্যাস। প্রথম উপন্যাসের নাম 'একটি গল্পের গল্প'।