শহীদুল্লা কায়সার জন্ম ১৬ ফেব্রুয়ারি ফেনী জেলার মজুপুর গ্রামে। পিতা: মাওলানা মােহাম্মদ হাবিবুল্লা, মাতা: সৈয়দা সুফিয়া খাতুন। ১৯৪৬ সালে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর শ্রেণীতে ভর্তি হলেও রাজনৈতিক কারনে অসমাপ্ত। পেশায় সাংবাদিক। সক্রিয় ছিলেন বামপন্থী রাজনীতিতে। একাধিকবার কারাবরণের সৌভাগ্য অর্জন করেছেন। তাঁর উল্লেখযােগ্য সৃষ্টি ‘সংশপ্তক’ ‘রাজবন্দীর রােজনামচা’ ‘কৃষ্ণচূড়া মেঘ’ ‘দিগন্তে ফুলের আগুন’ ‘গল্পসমগ্র’ ‘উপন্যাসসমগ্র-১ ‘উপন্যাসসমগ্র-২' প্রভৃতি। সাহিত্যের জন্য পেয়েছেন আদমজী সাহিত্য পুরস্কার (১৯৬৩) ও বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৬৯)। স্ত্রী পান্না কায়সার, কন্যা শমী কায়সার ও পুত্র অমিতাভ কায়সার। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসরদের দ্বারা ধৃত হন এবং তাঁর খোঁজ আজও পাওয়া যায় নি।
আনিসুজ্জামান
আনিসুজ্জামান (১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৭ - ১৪ মে ২০২০) ছিলেন একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ, লেখক ও জাতীয় অধ্যাপক। তিনি ১৯৩৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটে জন্মগ্রহণ করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ইমেরিটাস অধ্যাপক ছিলেন। ভাষা আন্দোলন (১৯৫২), উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান (১৯৬৯), এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তিনি সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলির মধ্যে রয়েছে ‘মুসলিম মানস ও বাংলা সাহিত্য’, ‘আমার একাত্তর’, এবং ’সোশ্যাল এস্পেক্টস অব এন্ডোজেনাস ইন্টেলেকচুয়াল ক্রিয়েটিভিটি’। প্রবন্ধ গবেষণায় অবদানের জন্য তিনি ১৯৭০ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, ১৯৮৫ সালে একুশে পদক, ২০১৫ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার, এবং ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মভূষণ পুরস্কার লাভ করেন।