এই উপন্যাসটি রচিত হয়েছিল ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে। তখন আমি কৈশোর পেরিয়ে সদ্য-যৌবনের দোরগোড়ায় পা রেখেছি। এর আগেও দুটি উপন্যাস লিখেছিলাম। সে দুটো উপন্যাস আলোর মুখ দেখেনি। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা যখন জ্বলছিল, তখন দুটো উপন্যাসই প্রকাশকের দপ্তরে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। অনুলিপি না থাকায় পরবর্তীকালে আর প্রকাশ করতে পারিনি।
যা হোক, 'জগজ্জীবন' উপন্যাসটি রচিত হয়েছিল একই সময়ে। বছরখানেক আগে বহুদিনের অযত্নে পড়ে থাকা আমার পুরানো খাতাপত্র ঘাটতে গিয়ে 'জগজ্জীবন'-এর হাতে লেখা পাণ্ডুলিপিটির সন্ধান পাই। পাঠ করে নিজেই অবাক হয়েছি- হেলাফেলা করে যা এতদিন কাগজের স্তূপে ফেলে রেখেছিলাম, তা কখনো ফেলনা ছিল না- ছিল মাণিক্য রতন। যদিও অল্প বয়সে লেখা, পাঠ করে মনে হলো এইটাই তো ছিল সাহিত্যের জন্য সত্য ও আসল।
রত্ন-রত্নই। চিরকালের জন্যই তা খাঁটি। এই খাঁটি বস্তুটি এযুগের বিদগ্ধ পাঠকের হৃদয়ে ভালোলাগার বিষয় হয়ে উঠবে এই বিশ্বাস আমার আছে। সকলের প্রতি প্রীতি ও শুভেচ্ছা।
হোসেনউদ্দীন হোসেন