১৯৭১ সাল। একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্য কৃষক, শ্রমিক, মুচি, কুলি, কামার-কুমার জেলে তাঁতীসহ, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সারাদেশের মুক্তিপাগল মানুষ কামানের গোলার সামনে হালের পেন্ডি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বাংলাদেশের দামাল ছেলেরা একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ, একটি মানচিত্র, একটি জাতীয় পতাকা নিয়ে ঘরে ফেরে। ঘরে ফেরে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, কথা বলার স্বাধীনতার স্বপ্ন নিয়ে, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতামূলক, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত, অপশাসন ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে। সেই স্বপ্ন আজ কতোটা পূরণ হয়েছে লক্ষ শহীদের রক্ত আর হাজার হাজার মা-বোনের সম্মানের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা গণমানুষকে কতোটা মুক্তি দিয়েছে তা সহজে অনুমান করা যায় যখন পাড়ায় পাড়ায়, মহল্লায় মহল্লায়, থানায় থানায় ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডার, প্রভাবশালী, ক্ষমতাবান লিডারদের ক্ষমতার অপব্যবহার, সন্ত্রাস, দুর্নীতির চিত্র দেখে। রাজনৈতিক দূর্বৃত্তদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে নীতিবান রাজনীতিবিদরা হারিয়ে যাচ্ছে এবং রাজনীতির মাঠ চলে যাচ্ছে রাজনৈতিক দূর্বৃত্তদের দখলে। তেমনি একজন রাজনৈতিক দূর্বৃত্তকে নিয়ে লেখা উপন্যাস গডফাদার।
জিল্লুর রহমান
জিল্লুর রহমান ০১ সেপ্টেম্বর ১৯৬৮ খ্রি. দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার মির্জাপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা: মৃত: ইউনুছ আলী, মাতা: মোছা. মরিয়ম নেছা। মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পাস করার পর ধর্মপুর ইউ.সি দ্বিমূখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি এবং দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিটিউট থেকে প্রথম বিভাগে ডিপ্লোমা-ইন-সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেন। পাশাপাশি বিরল কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাস করেন।
ছাত্রজীবন শেষে তিনি স্কাই টাচ এ্যাপার্টমেন্ট, বেসরকারি সংস্থা কারিতাস এবং নটরডেম কলেজে দীর্ঘ দিন কাজ করার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে যোগদান করেন।
লেখালেখির অভ্যাস ছাত্রজীবন থেকেই, তাঁর লেখা প্রথম কবিতা দৈনিক তিস্তা পত্রিকায় তারপর দৈনিক উত্তর বাংলাসহ বেশ কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।