সাহায্যের প্রয়োজন হলে আপনি কোথায় যাবেন, যখন গদফাদারের ক্ষমতা,
টাকা এবং ব্যবসার আইন ছাড়া আর কোনো আইন কার্যকর না? গডফাদারের কাছে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই।
মাফিয়া জগতের এক গডফাদার ভিটো কর্লিয়নি। আমেরিকান মাফিয়া জগতের সবচেয়ে শক্তিশালী পরিবার তার।
সন্তান, পরিবার ও পারিবারিক ঐতিহ্য তার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। মাফিয়াদের অপরাধ ও বিশ্বাসঘাতকতার জগতে ভিটো কর্লিয়নি বারবার প্রতারিত হন। বৃদ্ধ বয়সে গুলিবিদ্ধ হন কয়েকবার। তিনি যখন হাসপাতালে, পরিবারটি নানামুখী বিপদের মুখে পড়ে। ভিটোর বড় ছেলে সনি কর্লিয়নি তখন দায়িত্ব গ্রহণ করেন। কাহিনির শুরু এখানেই।
মাফিয়া জগতের লোভ, হিংসা, প্রতারণা থেকে কি কর্লিয়নি পরিবার রক্ষা পাবে নাকি আরে বেশি জড়িয়ে যাবে রক্ত,
খুন আর বিশ্বাসঘাতকতার বলয়ে?
মারিয়ো পুজো তাঁর ‘দ্য গডফাদার’ উপন্যাসে আমেরিকান মাফিয়া জগতের অপরাধ ও বিশ্বাসঘাতকতার এক শ্বাসরুদ্ধকর বর্ণনা হাজির করেছেন। প্রতারণা, যৌনতা, খুন ও পারিবারিক মূল্যবোধ নিয়ে লেখা উপন্যাসটি প্রকাশের পঞ্চাশ বছর পরও পাঠকের মনে উদ্দীপনা সৃষ্টি করে। লক্ষ লক্ষ পাঠক বইটি পড়েছেন, এখনো পড়ছেনÑনানা দেশে, নানা ভাষায়।
ব্যাককভার
সাদা চোখে মনে হবে আমেরিকার এসব ইতালিয়ান পরিবার বুঝি হোটেল-রেস্তোরাঁ, জলপাই তেলের নির্দোষ ব্যবসা করে নিরীহ জীবনযাপন করছে। কিন্তু পিলে চমকাবে ভেতরে ঢুকলে। তখন দেখবেন ডন পরিবারগুলোতে কী চলছে। অসংখ্য মানুষ এদের যেকোনো নির্দেশ পালন করছে; প্রয়োজনে জীবন দিচ্ছে। কেন? কারণ এটা একটা ভিন্ন জগৎ। পৃথিবীর ভয়ংকরতম দুর্র্ধর্ষ ও নিষ্ঠুর সংগঠন মাফিয়ার জগৎ।
মারিও পূজো
মারিও পুজো ১৯২০ সালের ১৫ অক্টোবর দরিদ্র এক সিসিলিয় ইমিগ্রান্ট পরিবারে জন্ম। গ্র্যাজুয়েশন করেন নিউইয়র্ক সিটি কলেজ থেকে । বেশির ভাগ বইতে উঠে আসে নিজস্ব সংস্কৃতি। মার্কিন বিমানবাহিনীতে যােগ দিয়ে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে এশিয়ায় এবং জার্মানিতে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৫ সালে প্রথম বই দ্য ডার্ক এরিনা প্রকাশিত হয়। সবচেয়ে বিখ্যাত বই ‘দ্য গডফাদার’ প্রকাশিত হয় ১৯৬৯ সালে । পরে চলচ্চিত্রায়িত হয় বইটি। শেষ বই ‘ওমের্তা’ । পুজো মারা যান ১৯৯৯ সালের ২ জুলাই।