এজ অভ ইনফর্মেশন। কথাটা আজকাল মুখে-মুখে ফেরে। এটা নাকি ইনফর্মেশনের যুগ। যে যত বিষয়ে যত বেশি খবর রাখতে পারবে, অন্যদের তুলনায় সে ততটাই থাকবে এগিয়ে। যার ঝুলিতে যত বেশি খবর, সুবিধাও তার তত বেশি। ইস্কুল-জীবনে যে পরীক্ষার শুরু, কর্মজীবনে প্রতিষ্ঠিত হবার পরেও তার শেষ নেই। কেননা, তার পরেও থাকে উন্নতির ধাপগুলােকে টপকাবার, যতটা সম্ভব এগিয়ে যাবার প্রতিযােগিতা।
কিন্তু খবর আর জ্ঞান তাে এক নয়। টুকরাে-টুকরাে খবরকে, কিংবা বলা যাক হাজার গণ্ডা তথ্যকে, যতক্ষণ না একই সূত্রে, পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কিত করে গেঁথে তােলা হচ্ছে, ততক্ষণ তা আমাদের জ্ঞানের সীমানা বাড়ায় না। নিল ও'ব্রায়েন সে-কথা জানেন বলেই তাঁর কুইজগুলােকে তিনি এখানে খাপছাড়াভাবে সাজাননি। যা নিয়ে কুইজ, প্রথমেই খুব অল্প পরিসরে, ছােট্ট নিবন্ধের আকারে, সেই বিষয়টির পরিচয় দিয়েছেন তিনি। জাগিয়ে তুলেছেন তার সম্পর্কে একটা স্পষ্ট ধারণা ও সেই বিষয়ে আরও কিছু জানার কৌতূহল। এবং তার পরে সেই বিষয়টি সম্পর্কে তাঁর প্রশ্নমালা ও উত্তরগুলি তিনি সাজিয়ে দিয়েছেন।
কুইজ এখানে খাপছাড়া নয়, বিষয়ভিত্তিক। ফলে, এ-বই যারা পড়বে, হাজার-হাজার তথ্য তাে তারা জানবেই, সেইসঙ্গে—তথ্যগুলিকে যেহেতু সুশৃঙ্খলভাবে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত করে গাঁথা হয়েছে, তাই—হরেক বিষয়ে বাড়বে তাদের জ্ঞানের পরিধি।
যে কুইজের জন্য পাক্ষিক আনন্দমেলার পাঠক-পাঠিকাদের মধ্যে কাড়াকাড়ি পড়ে যায়, এই বইয়ের মাধ্যমে এবারে তা সকলের কাছে পৌছে গেল।