পারিবারিক আদর্শে ও চেতনায় গড়া এক সরকারি কর্মকর্তার গল্প দিয়ে আরম্ভ করে। অদ্রি-পারিজাতের পৃথিবী হয়ে ওঠে বর্তমান আখ্যান। আর সেখানে আছে মফস্বলের জীবন, সরকারি চাকুরির চাপ ও চাহিদা; আছে প্রকৃতির সাথে মানুষের সম্পর্ক এবং গ্রামীণ-জীবনবোধের সবুজ আভা। পারিবারিক বন্ধন, সামাজিক শিক্ষা আর মানুষের কল্পনা ও আচারের অগ্রগতির আকাক্সক্ষা-বীজের ছবিও আছে সারি সারি।
উন্নয়ন আর বাস্তবতা যে এক কথা নয়, তা পাঠক অনুধাবন করতে পারবেন কাহিনির ভেতরে প্রবেশ করতে থাকলে। ঐতিহ্য-আভিজাত্য এবং সমকালীনতা এখানে সমুদ্র ও পাহাড়ের পাশাপাশি অবস্থানের মতো শোভা নির্মাণ করেছে। সমাকালীন কোভিড ভাইরাসও জায়গা করে নিয়েছে আখ্যানের প্রবাহে; মহামারিকে পুঁজি করে একশ্রেণির অর্থ-লোপাটের খবর যেন চেতনাকে বিপন্ন করে।
আমাদের পূর্বপুরুষের কাছে খুব চেনা গ্রামীণ সংস্কৃতির আলো যে আজ আর দেখা যায় না, কিন্তু সে-আলোয় কী যে এক মায়া মাখা ছিল, তার প্রয়োজনের তাগিদ নতুন প্রজন্মকে হয়তো ভাবিয়ে তোলে কখনো কখনো কাহিনির কোনো মোড়ে। শেষপর্যন্ত একটা মানবিক সমাজ গড়ার আর্তির বাতাস জমা হয়ে থাকে অদেখা কোনো মানুষের পচে-যাওয়া মনে ও মননে।
শাহমুব জুয়েল
শাহমুব জুয়েল জন্ম ০৯ জানুয়ারি, ১৯৮৫ খ্রি. চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার হাঁসা গ্রামে। লেখকের সম্পাদিত লিটলম্যাগ ‘বর্ণিল’। কবিতাগ্রন্থ : ‘কাঁচা রোদের সন্ধানে’ (২০১৭), ‘মুখোমুখি আহ্লাদী চিবুক’ (২০১৭), ‘বাংলা ব্যাকরণ : উচ্চমাধ্যমিক বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি’ (২০১৭), ‘উচ্চমাধ্যমিক সৃজনশীল বাংলা প্রথম পত্র’ (২০১৭); গল্পগ্রন্থ : ‘অথৈ সময়ের শ্বাস’ (২০১৮); প্রবন্ধগ্রন্থ : ‘কথাসাহিত্যে রাজনৈতিক দর্শন ও বিবিধ প্রবন্ধ’ (২০১৯); উপন্যাস : ‘সবুজডানা’ (২০২০), ‘সমুদ্রগামিনী’ (২০২০), ‘গিরিকন্যা’ (২০২১), ‘মেঘ বিদায়ের দিন’ (২০২২)। তিনি শিক্ষকতা ও সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। ¯স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পত্রিকায় কবিতা, গল্প, সাহিত্যসমালোচনা, নিয়মিত কলাম ও ফিচার লিখছেন। টেলিভিশনে শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতিবিষয়ক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছেন।