রবীন্দ্রনাথের শিলাইদহ কুঠিবাড়ি, লালন সাঁইয়ের ছেঁউড়িয়া, কাঙাল হরিনাথ মজুমদারের কুণ্ডুপাড়া, মীর মশাররফের লাহিনীপাড়া, অগ্নিযুগের বিপ্লবী বাঘা যতীন ও ঔপন্যাসিক আকবর হোসেনের কয়া, অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় ও গীতিকার মাসুদ করিমের দুর্গাপুর, কথাসাহিত্যিক জলধর সেনের তেবাড়িয়া, আড়পাড়ার গগন হরকরা, কথাশিল্পী জগদীশ গুপ্তের আমলাপাড়া, কৃষক-প্রজা পার্টির নেতা শামসুদ্দীন আহমদের সুলতানপুরÑএই হলো গড়াই নদীর পাড়। গ্রামগুলোর অধিকাংশই কম-বেশি তারকাখ্যাতিতে সমুজ্জ্বল। অথচ এসব বিখ্যাতজনের অনেকেই জাতীয় পর্যায়ে এমনকি নিজ-এলাকাতেই অবহেলিত ও অমূল্যায়িত হয়ে বিস্মৃতির পথে। গড়াই নদীর পাড় আজ যেন এক বেদনাকাব্য। কিন্তু শিকড় ভুলে গেলে অস্তিত্ব থাকে কোথায়? তাই শিকড়ে ফেরার ব্যাকুল আর্তি। রকিবুল হাসান তাঁদের জীবন্তরূপে তুলে ধরেছেন সফলভাবে।
রকিবুল হাসান
রকিবুল হাসান। জন্ম ৩১ মে, ১৯৬৮। কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার কয়া গ্রামে। মাতা: পরীজান নেছা। পিতা: মোহা. উকিল উদ্দিন শেখ। লেখাপড়া: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে বি.এ. (অনার্স) এম.এ., পিএইচডি.। পেশা: সাংবাদিকতা। সম্পাদক, সাপ্তাহিক অর্থবিত্ত ও গৈরিক (সাহিত্যপত্রিকা)। প্রকাশিত গ্রন্থ : প্রবন্ধ: বিপ্লবী ভাঘা যতীন, পথের কথা, কয়ায় রবীন্দ্রনাথ, বাঘা যতীন এবং প্রাজ্ঞজন, কাব্য: দুঃখময়ী শ্যামবর্ণ রাত, অনিয়ম চুম্বনের সিঁড়ি ধরে, এক ধরনের অহংকার। উপন্যাস: নবীরন, ভাঙন, জীবন দিয়ে ভালোবাসি, এ কি তৃষ্ণা এ কি দাহ, ছায়াবন্দি, সম্পাদনা: নবতরঙ্গের ধ্বনিবন্ধ, আমার সোনার বাংলা কই, কত কবিতা শুনলাম কিন্তু। সাক্ষাৎকারভিত্তিক গ্রন্থ: ইন্টারভিউ। পুরস্কার: বাংলা সাহিত্য পদক (১৪১৩ বাংলা), স্যার সলিমুল্লাহ পদক (২০০৬), দি সান সম্মাননা (২০১০), চাইল্ড হেভেন সম্মাননা (২০১০)। জীবন সদস্য, বাংলা একাডেমী, আজীবন সদস্য, কুষ্টিয়া জেলা সমিতি ঢাকা; নির্বাহী পরিষদ সদস্য, সাহিত্য একাডেমি, কুষ্টিয়া।