বাংলাদেশের সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষাবিদ এবং পন্ডিত ছিলেন ডঃ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। বাংলা ভাষা নিয়ে গবেষণায় তিনি ছিলেন অদ্বিতীয়। মাতৃভাষায় প্রতি ছিল তার গভীর ভালােবাসা এবং শ্রদ্ধা। মাতা, মাতৃভাষা আর মাতৃভূমি এ তিনটি প্রত্যেক মানুষের পরম শ্রদ্ধার বস্তু-এ ছিলাে তার অমর বাণী। ভাষা ও ভাষাতত্ত্বে তার ছিলাে অগাধ পান্ডিত্য। ভাষা সম্পর্কে জ্ঞান নিয়ে প্রচলিত আছে। অনেক প্রবাদবাক্য। যে শব্দের উৎপত্তি কোথাও মেলে না, ডঃ শহীদুল্লাহর কাছে তা মিলতাে, তাই তাকে বলা হতাে “চলিষ্ণুবিদ্যাকল্পদ্রুম”। সত্যিকার অর্থেই তিনি ছিলেন একজন জ্ঞানতাপস। তিনি ছিলেন বহুভাষাবিদ। নতুন এবং পুরনাে ভাষা মিলিয়ে মােট একুশটি ভাষা জানতেন। তার মধ্যে রয়েছে ইংরেজি, ফরাসি, সংস্কৃত, জার্মান, আরবি, ফারসি, উর্দু, হিব্রু, গ্রীক, ল্যাটিন, পাঞ্জাবি, গুজরাটি, মারাঠি, তামিল, সিংহলি ইত্যাদি বাংলা ছাড়াও তিনি ইংরেজি, ফরাসি ও উর্দু ভাষায় অত্যন্ত দক্ষ ছিলেন এবং ভালােভাবে লিখতে পারতেন। তার মতাে পন্ডিত ব্যক্তি একালে আমাদের দেশে আর কখনাে জন্মগ্রহণ করেননি। শুধু আমাদের দেশ নয়, তিনি গােটা উপমহাদেশেরও একজন অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষাবিদ ছিলেন।
আহমদ মতিউর রহমান
আহমদ মতিউর রহমান কবি-ছড়াকার-প্রাবন্ধিক হিসেবে পরিচিত। তবে ছােটগল্প ও ভ্রমণ কাহিনির ক্ষেত্রেও তার হাত অসামান্য। ভ্রমণ উপন্যাস নীলগিরি কক্সবাজার এর মধ্য দিয়ে তার নতুন প্রকাশ। তার লেখালেখির শুরু নারায়ণগঞ্জে স্কুল জীবন । থেকেই। জন্ম ১৯৫৯ সালের ৩১ জানুয়ারি মতলব, চাদপুরে। বেড়ে উঠেছেন মুন্সীগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলায় অনার্সসহ মাস্টার্স করেছেন। এরপর পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। সাংবাদিকতা। বাংলাদেশ টেলিভিশনের বার্তা বিভাগে কাজ করেছেন দুই যুগ। এছাড়া মাসিক ফুলকুঁড়ি পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন দীর্ঘদিন। প্রকাশিত গ্রন্থ : সােনারং বিকেলে (গল্প), গল্পগুলাে ভূতের (গল্প), প্রজাপতির রঙিন পাখা (ছড়া), ধিচিং লালের ছড়া (ছড়া), লাল লাল নীল নীল (ছড়া), সাংকেতিক চিহ্নগুলাে (কবিতা), বিশ্বকাপ ফুটবল ১৯৯০ (খেলাধুলা)। জীবনীগ্রন্থ : বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, পল্লীকবি জসীম উদ্দীন, মহীয়সী বেগম রােকেয়া, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, হােসেন শহীদ সােহরাওয়ার্দী, জ্ঞানতাপস ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্, বিজ্ঞানী সার আইজ্যাক নিউটন ও বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন।