স্কুল পেরিয়েই সাংবাদিকতায় কাজ করতে আসা। তারপর কেটে গেল পঁচিশ বছর। কলেজ না ডিঙোতেই প্রথম বই। শিশুদের জন্য তোমাদের প্রিয়জন। তারপর বাংলাদেশের পথে পথে, চল যাই নদীর দেশে, গাছ বন্ধু, ফুল বন্ধু, চল বড় হই। টেলিভিশন সাংবাদিকতারও যুগ একযুগ পেরিয়েছে। শুরু থেকে টেলিভিশনকে শিশুদের প্রতি সংবেদনশীল রাখার লড়াইয়ে। শিশুদের জন্য পত্রিকা ইচ্ছে প্রকাশের প্রস্তুতি চলছে। নিয়মিত সঞ্চালনা করা হয় সময় সংলাপ। সেখানেও এ প্রজন্মের শৈশব-কৈশোর উদযাপন প্রতিপাদ্য হয়ে আসে।
বিপ্রদাশ বড়ুয়া
বিপ্রদাশ বড়ুয়া, জন্ম ২ আশ্বিন ১৮৬২ শকাব্দ (২০ সেপ্টেম্বর ১৯৪০) চট্টগ্রামের ইছামতী গ্রামে। পড়াশুনা চট্টগ্রাম, রাঙামাটি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। গল্প, উপন্যাস, প্রকৃতি ও বিচিত্র বিষয়ে লেখেন। পাখি, সমুদ্র ও বৃক্ষ, বনমর্মরভূমি, ভ্রমণ, গবেষণা-বিশাল লেখার ভুবন। বাংলাদেশের আনাচ-কানাচ উঠে আসে দৈনিক পত্রিকার কলামে। রাতের রেলগাড়িতে ছায়াপথে ভ্রমণ এই বিষয়ে প্রথম পদক্ষেপ বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের বিশাল রাজ্যে প্রবেশের ছোট্ট জানালা। সেই থেকে শুরু। তার ফসল দৈনিক পত্রিকার সহজ-সরল লেখাগুলো। প্রকৃতির বিচিত্র বিষয় নিয়ে এক ডজনের বেশি বই প্রকাশিত হয়েছে। গাছপালা, তরুলতা ও বৃক্ষ ও নিসর্গ, নিসর্গের খোঁজে, প্রকৃতিও প্রতিশোধপরায়ণ, বিপন্ন বাংলাদেশ ও বন্ধু বৃক্ষ প্রভৃতি গ্রন্থে তাঁর মনোভঙ্গি ধরা পড়ে। এসব লেখায় ছড়িয়ে আছে আকাশ ও নক্ষত্রপ্রীতি। ১৯৯১-তে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, ১৪১১ সনে বাংলাদেশ শিশু একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার লাভ। তাঁর তিনটি বই অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কার লাভ করে। পেয়েছেন রেডি টুডে প্রবর্তিত প্রথম গ্রিন এওয়ার্ড ২০১০।