ভূমিকা বর্তমান সমাজের চরম অবনতি উপলব্ধি করে এই কাহিনী লেখার প্রেরণা পেয়েছি। আমার মনে হয়েছে এভঅবে যদি দিন দিন আমার প্রগতি ও নারী স্বাধীনতার নাম দিয়ে চলতে থাকি, তা হলে ইসলাম থেকে সমাজের মানুষ বহুদূরে চলে যাবে। শুধু মুখে ,কেতাবে ও মুষ্টিমেয় লোকের কাছে ছাড়া অন্য কোথাও ইসলামের নাম গন্ধ থাকবে না।
বিদেশী শিক্ষাকে আমি খারাপ বলছি না। পৃথিবীর যে কোনো ভাষায় আমরা জ্ঞান অর্জন করতে পারি। কিন্তু বিদেশী শিক্ষার সংগে সংগে তাদের ভালো দিকটা বাদ দিয়ে খারাপ দিকটাই অনুকরণ করে আমরা যেন ‘কাকের ময়ূর হওয়ার মত’ মেতে উঠেছি।
অথচ আল্লাহ তা’য়ালা কোরআন পাকে বলিয়াছেন-“তোমরা (মুসলমানরা)উত্তম সম্প্রদায়, যে সম্প্রদায়কে প্রকাশ করা হইয়াছে মানবমণ্ডলীর জন্য। তোমরা নেক কাজের আদেশ কর এবং মন্দ কাজ হইতে নিবৃত্ত রাখ এবং আল্লাহর প্রতি ঈমাণ রাখ।” (সূরা আল ইমরান, ১১০ নং আয়াত, পারা-৪।)
আর এখন আল্লাহ পাকের কথিত সেই মুসলমানেরা কোরআন ও হাদিসের আদর্শ ত্যাগ করে দুনিয়ার মধ্যে সব থেকে নিকৃষ্ট জাতিতে পরিণত হয়েছে। তাই তারা পৃথিবীর সকল দেশেই উৎপীড়িত ও লাঞ্ছিত।
আমরা যদি আল্লাহর ও রাসূলের (দ:) বাণীকে অনুকরণ ও অনুস্বরণ করে চলি, তা হলে নিশ্চয়ই আল্লাহপাকের রহমতে আবার আমরা আমাদের গৌরবজ্জ্বল ইতিহাস তৈরি করতে পারব।
যদি এই বাস্তবধর্মী উপন্যাসটি পড়ে বর্তমান যুব সমাজ সামান্যতমও জ্ঞান লাভ করে সেইমতো চলার প্রেরণা পায়, তবে নিজেকে ধন্য মনে করব।
আমার এই প্রাণ প্রিয় উপন্যাসটি প্রথম প্রকাশ পায় ১৯৮৬ ইং সালে এবং প্রথম সংস্করণে বাংলাদেশ ও ভারতের পাঠক সমাজে আশাতীতভাবে সমাদৃত হয়। এ জন্য আমি আল্লাহপাকের দরবার শতকোটি শুকরিয়া আদায় করছি এবং সেই সংগে আমার প্রিয় পাঠকবর্গের কাছে অকুণ্ঠ কৃতজ্ঞতাও জানাচ্ছি। ওয়াস সালাম কাসেম বিন আবু বক্কর
কাসেম বিন আবুবাকার
কাশেম বিন আবু বকর একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত বাংলাদেশী উপন্যাসিক যার উপন্যাসের মূল বিষয়বস্তু গ্রামীন প্রেক্ষাপটে ইসলামকেন্দ্রিক প্রেম ভালোবাসা। তিনি অধুনা পশ্চিম বংগের হুগলীতে জন্মগ্রহন করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশে চলে আসেন। প্রথম জীবনে তিনি ছিলেন একজন বই বিক্রেতা। ১৯৭৮ সালে তিনি তার প্রথম উপন্যাস ফুটন্ত গোলাপ লেখেন। উপন্যাসটি প্রকাশ পেতে এক দশকের মত সময় লেগে যায়। প্রকাশের পরে বইটি বেস্ট সেলারে পরিণত হয়। আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপি তাকে নিয়ে প্রতিবেদন করার পরে তিনি আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসেন। তার উপন্যাস ঠিক উপন্যাস কিনা এটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়।