১৯৭০ সালের শেষ দিকে এ বইয়ের কাহিনির শুরু। আসে ১৯৭১, শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। পাকিস্তানি মিলিটারিদের হাতে রঞ্জুর বাবা দৈহিকভাবে নির্যাতনের শিকার হন, তার পরও তাঁর পাকিস্তান-প্রীতি যায় না। কিশোর রঞ্জু ব্যাপারটা ভুলতে পারে না। যুদ্ধে তারা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। এর মধ্যেই রাজাকাররা পাড়ায় শান্তি কমিটি করার উদ্যোগ নেয়। তাদের ঠেকাতে এক বন্ধুকে নিয়ে রঞ্জু একটা বুদ্ধি বের করে। এ দুজন যে দায়িত্ব পালন করে, তাতেই তাদের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করা হয়ে যায়। সরাসরি অংশগ্রহণ না করেও কতজন কতভাবে যে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধকে সহায়তা করেছে, সে গল্প এই কিশোর উপন্যাসে জীবন্ত হয়ে উঠেছে। রুদ্ধশ্বাসে পড়ার মতো মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এই উপন্যাস কিশোরদের তো ভালো লাগবেই, যারা আর কিশোর নেই, তাদেরও ভালো লাগবে।