প্রতিষ্ঠাতা পিতৃপুরুষ হ্যারি সেলডনের দেখানাে পথ এবং নিজের অতি উন্নত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সহায়তায় ফাউণ্ডেশন প্রতিবেশী বর্বর গ্রহগুলাের আগ্রাসন থেকে নিজেকে রক্ষা করেছে। অথচ এবার তাকে মুখােমুখি হতে হবে এম্পায়ার এর, মৃত্যুর দোরগােড়ায় দাঁড়িয়েও গ্যালাক্সির মাঝে এখনাে যা সবচেয়ে শক্তিশালী। যখন উচ্চাকাঙখী এক জেনারেল। এম্পায়ার-এর পুরােনাে গৌরব আর মহিমা ফিরিয়ে আনার দৃঢ় সংকল্পে দুর্ধর্ষ ইম্পেরিয়াল ফ্লিট নিয়ে ফাউণ্ডেশন আক্রমণ করে বসে, তখন স্কলার এবং সায়েন্টিস্টদের এই ছােট গ্রহের একমাত্র আশা হ্যারি সেলডনের ভবিষ্যদ্বাণী। কিন্তু একটি অস্বাভাবিক ক্রিয়েচারের জন্মের ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারেন নি হ্যারি সেলডনও। তার নাম মিউল-একটা মিউট্যান্ট। ইন্টেলিজেন্স, সে একাই একজন ব্যাটল ফ্লিটের চাইতেও বেশি। শক্তিশালী—এমনই তার ক্ষমতা যে সবচেয়ে বিদ্রোহী এবং প্রতিবাদী মানুষটিকেও সে মুহুর্তের মধ্যেই পরিণত করে অনুগত দাসে।
নাজমুছ ছাকিব
আইজাক আসিমভ
কিংবদন্তির সায়েন্স-ফিকশন লেখক আইজ্যাক আসিমভ এর জন্ম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। পেশাগত জীবনে তিনি বস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিষ্টের প্রফেসর ছিলেন। সায়েন্স-ফিকশন দুনিয়ার রবার্ট ই. হিনলিন, আর্থাও সি. ক্লার্ক তাকে বিগ থ্রি বলে অভিহিত করে থাকে।
প্রায় ৪০০ বইয়েওে স্রষ্টা তিনি। তার প্রবন্ধ সংগ্রহ, রহস্যগল্প এবং সায়েন্স-ফিকশন খুবই জনপ্রিয়। বিশেষ কওে তার ফাউন্ডেশন সিরিজ’ তাকে খ্যাতির শীর্ষে স্থান দিয়েছে। তার গল্প নিয়ে হলিউডে নির্মিত হয়েছে অসংখ্য চলচ্চিত্র। এখনও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে, বিভিন্ন ভাষায় তার লেখা অনুদিত হয়ে আসছে, নির্মিত হচ্ছে চলচ্চিত্র।
সারার পৃথিবীর বিজ্ঞান-কল্পকাহিনীর লেখকদেও আদর্শ তিনি।