দূর ভবিষ্যতের কাহিনী। ভেঙে পড়ছে গ্যালাক্সির লক্ষ লক্ষ বিশ্বজুড়ে বিস্তৃত গ্যালাকটিক এম্পায়ার। শােনা যাচ্ছে বর্বরতার পদধ্বনি, পরিষ্কার ফুটে উঠেছে তুঙ্গস্পর্শী। মানবসভ্যতার অবক্ষয়ের অযুত চিহ্ন। সাইকোহিষ্ট্রি, অর্থাৎ মনস্তাত্ত্বিক ইতিহাসের সাহায্যে ভবিষ্যদ্বাণী করলেন। গণিতবিদ প্রফেসর হ্যারি সেলডন: শিগগিরই শুরু হতে যাচ্ছে তিরিশ হাজার বছর স্থায়ী চরম অরাজকতা ও নৈরাজ্য। এই ঘাের অমানিশায় একমাত্র আলােকবর্তিকা তিনিই। তাই তিনিই বাতলে দিলেন উদ্ধারের পথ তৈরি করতে হবে। শিল্পকলা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর এক নতুন শক্তি ফাউণ্ডেশন। নতুন আরেক সাম্রাজ্যের কেন্দ্রবিন্দু। শুধু যে পথই দেখালেন তা নয়, অগুনতি সহকর্মী নিয়ে তারুণ্যের উদ্যম আর দুরন্ত সাহসিকতার সঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়লেন মানবজাতিকে বাঁচাতে।
কিন্তু কিভাবে?
জি এইচ হাবিব
জি এইচ হাবীব বাংলাদেশে অনুবাদ সাহিত্যের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজের *নিঃসঙ্গতার একশ বছর* এবং ইয়স্তেন গার্ডারের *সোফির জগৎ* এর অনুবাদ তার খ্যাতি প্রতিষ্ঠিত করেছে। তিনি ১৯৬৭ সালে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন এবং তার আসল নাম গোলাম হোসেন হাবীব, যা পরে সংক্ষেপিত হয়ে জি এইচ হাবীব হয়। শিক্ষাজীবন কাটিয়েছেন ঢাকায়, মিরপুরের শহীদ আবু তালেব বিদ্যানিকেতন থেকে মাধ্যমিক ও মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন, এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। কর্মজীবনে সাংবাদিকতা দিয়ে শুরু করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে শিক্ষকতা করছেন। অনুবাদ সাহিত্যের প্রতি তার আগ্রহ ছোটবেলা থেকেই, বিশেষ করে সেবা প্রকাশনীর গোয়েন্দাগল্পগুলো পড়ার মাধ্যমে। ১৯৮৭ সালে রহস্য পত্রিকায় তার প্রথম অনুবাদ প্রকাশিত হয় এবং পরে সেবা প্রকাশনীর মাধ্যমে প্রথম বই অনুবাদ করেন, যা ছিলো *শার্লক হোমস*। তার উল্লেখযোগ্য অনুবাদ গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে তরে ইয়নসন-এর *লাতিন ভাষার কথা*, আমোস তুতুওলা-এর *তাড়িখোর*, ইতালো কালভিনোর *অদৃশ্য নগর*, এবং রলাঁ বার্ত-এর *রচয়িতার মৃত্যু*।
আইজাক আসিমভ
কিংবদন্তির সায়েন্স-ফিকশন লেখক আইজ্যাক আসিমভ এর জন্ম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। পেশাগত জীবনে তিনি বস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিষ্টের প্রফেসর ছিলেন। সায়েন্স-ফিকশন দুনিয়ার রবার্ট ই. হিনলিন, আর্থাও সি. ক্লার্ক তাকে বিগ থ্রি বলে অভিহিত করে থাকে।
প্রায় ৪০০ বইয়েওে স্রষ্টা তিনি। তার প্রবন্ধ সংগ্রহ, রহস্যগল্প এবং সায়েন্স-ফিকশন খুবই জনপ্রিয়। বিশেষ কওে তার ফাউন্ডেশন সিরিজ’ তাকে খ্যাতির শীর্ষে স্থান দিয়েছে। তার গল্প নিয়ে হলিউডে নির্মিত হয়েছে অসংখ্য চলচ্চিত্র। এখনও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে, বিভিন্ন ভাষায় তার লেখা অনুদিত হয়ে আসছে, নির্মিত হচ্ছে চলচ্চিত্র।
সারার পৃথিবীর বিজ্ঞান-কল্পকাহিনীর লেখকদেও আদর্শ তিনি।