অবশেষে গ্র্যান্ড মাস্টার অব সায়েন্স ফিকশন আইজাক আসিমভ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞান কল্পকাহিনী সিরিজ ফাউণ্ডেশন-এর সমাপ্তি টানলেন । ফরওয়ার্ড দ্য ফাউণ্ডেশন তার অসামান্য কীর্তি। মৃত্যুর মাত্র কিছুদিন পূর্বে আসিমভ এটি লিখে শেষ করেন। স হ্যারি সেলডন অবিরাম চেষ্টা করে যাচ্ছেন সাইকোহিস্টোরি-- তার গ্রান্তকারী থিওরি কার্যকরী করে তােলার জন্য, মহাবিশ্বে মানবজাতির নিরাপদ এক ভবিষ্যৎ গড়ে তােলার জন্য। কিন্তু সুবিশাল এবং অবিনশ্বর গ্যালাকটিক এম্পায়ার ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে- সেলডন এবং তার প্রিয় সব মানুষকে নিয়ে শুরু হয়েছে ক্ষমতালােভী মানুষগুলাের দাবা-খেলা। সেলডনকে যে নিজের মুঠোয় নিতে পারবে সে-ই নিয়ন্ত্রণ করবে মহাবিশ্বের ইতিহাসের সবচেয়ে কার্যকর হাতিয়ার- সাইকোহিস্টোরি । স্বার্থান্বেষী এক রাজনীতিবিদ, দুর্বলচিত্তের সম্রাট প্রথম ক্লীয়ন, নির্দয় এক মিলিটারি জেনারেল সবাই চায় সাইকোহিস্টোরি। এদের কাছ থেকে যেভাবেই হােক সেলডনকে তার সারাজীবনের সাধনার ফসল লুকিয়ে রাখতে হবে, মানবজাতির প্রতি এটাই হবে তার শেষ অবদান । সত্যিকারের উত্তরাধিকারীর অনুসন্ধান করতে লাগলেন তিনি। যে অনুসন্ধানের সূচনা হয় নিজের দৌহিত্রীর মাধ্যমে নতুন এক ফাউণ্ডেশন গড়ে তােলার পরিকল্পনার মাধ্যমে।
নাজমুছ ছাকিব
আইজাক আসিমভ
কিংবদন্তির সায়েন্স-ফিকশন লেখক আইজ্যাক আসিমভ এর জন্ম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। পেশাগত জীবনে তিনি বস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিষ্টের প্রফেসর ছিলেন। সায়েন্স-ফিকশন দুনিয়ার রবার্ট ই. হিনলিন, আর্থাও সি. ক্লার্ক তাকে বিগ থ্রি বলে অভিহিত করে থাকে।
প্রায় ৪০০ বইয়েওে স্রষ্টা তিনি। তার প্রবন্ধ সংগ্রহ, রহস্যগল্প এবং সায়েন্স-ফিকশন খুবই জনপ্রিয়। বিশেষ কওে তার ফাউন্ডেশন সিরিজ’ তাকে খ্যাতির শীর্ষে স্থান দিয়েছে। তার গল্প নিয়ে হলিউডে নির্মিত হয়েছে অসংখ্য চলচ্চিত্র। এখনও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে, বিভিন্ন ভাষায় তার লেখা অনুদিত হয়ে আসছে, নির্মিত হচ্ছে চলচ্চিত্র।
সারার পৃথিবীর বিজ্ঞান-কল্পকাহিনীর লেখকদেও আদর্শ তিনি।