রাজনৈতিক অসন্তোষ, ইহুদী, মেডিকেল ছাত্র, ক্ষুদ্র অপরাধী: ইউরোপের পল্লী রাস্তায় ভ্রমণরত হাজার হাজার বিচ্ছিন্ন ব্যক্তিদের মধ্যে স্টিনার এবং কার্ন রয়েছে। উভয়ই চেকোস্লোভাকিয়াতে তাদের দুই সপ্তাহের ছুটি বহিষ্কারের জন্য কর্মকর্তাদের বিরক্ত করেছে এবং তাই তারা চলে যেতে হবে না। কিন্তু একজন মানুষ যখন একজন দেশের সীমান্তে পাহারাদারের নেতৃত্বে থাকে, তখন তাকে আরেকটি চেষ্টা করতে হবে। তিনি যে এক থেকে escorted পর্যন্ত কয়েক পেনিয়ের জন্য জুতো এবং নিরাপত্তার পিন বিক্রি করে হাত থেকে মুখ বাঁধেন, স্টিনার এবং কার্ন আবিষ্কার করেন যে, এখনও আনন্দ রয়েছে। প্যারিস, এক জন্য; অন্যের জন্য ভালবাসা। নাৎসি রাষ্ট্রের নিষ্ঠুর নিষ্ঠুরতা এবং ঠান্ডা রক্তাক্ত আইনগুলির মধ্য দিয়ে মানবতা ও উদারতা এখনও রয়েছে। এবং প্রেমে পড়া, বেঁচে থাকা, এবং আপনার গল্প বলার অসম্ভব আনন্দ আছে যাতে এটি ভুলে যায় না
এরিক মারিয়া রেমার্ক
বিপ্লবী, ইহুদী, মেডিকেলের ছাত্র আর ছিচকে অপরাধীসহ ইউরােপের নানা স্থানে ছড়িয়ে থাকা কয়েক হাজার বিক্ষিপ্ত ইহুদীর মধ্যে ছিল স্টেইনার আর কার্ন। চেকোশ্লাভিয়ার অস্থায়ী নিবাসে দুই সপ্তাহের জন্য থাকার কথা ছিল তাদের, কিন্তু থেকেছে তারও বেশি। ওখানকার কর্মকর্তারা ধাক্কিয়ে বের করে দিল, যাবে কোথায় ওরা? ১৯৩৯ সালের এই ইউরােপে তাদের জন্য কোনও জায়গা নেই। এক দেশের বর্ডার পেরিয়ে আসা মানুষগুলাে তাে আরেকটা বর্ডার পার করার চেষ্টা করতেই পারে! দিন এনে দিন খাচ্ছিল ওরা। জুতাের ফিতে আর সেফটিপিন বিক্রি করে কামাচ্ছিল কয়টা পয়সা, এর মধ্যেই স্টেইনার আর কার্ন লক্ষ্য করল ওদের জীবনে এখনও রয়ে গেছে আনন্দের উৎস! প্যারিস আর প্রেম-নাজিদের নিষ্ঠুরতা আর অন্যায় আইনের পৃথিবীতে এমন দুটো আনন্দধারা কেউ কেড়ে নিতে পারেনি। এখনও হারিয়ে যায়নি মানবতা; প্রেমে পড়ার, টিকে থাকার গল্প অন্যদের বলে যাওয়ার মধ্যে যে আনন্দটি আছে তার সঙ্গে আর কিছুর তুলনা হয় না। তাই বলে গেল ওরা, যেন গল্পটি কোনােদিন হারিয়ে না যায়