বই সম্পর্কে :
‘ফেল্টুস? চড় খাবি!’ বইটি দেখলেই হাতে নিয়ে পড়তে ইচ্ছে করে। লুৎফর রহমান রিটনের ছড়া পড়ার লোভ সামলানো সত্যিই কঠিন। বইটিতে মোট ১৬টি ছড়া রয়েছে। সবগুলো ছড়া ছোটদের জন্য। ভীষণ মজার ছড়া একেকটা। প্রতিটি ছড়ার সঙ্গে দারুণ দারুণ ইলাসট্রেশন-ছবি-চিত্র। আর্ট পেপারে ছাপা। ঝকঝকে। চার রঙা। ছোটদের পাশাপাশি ছড়াগুলো বড়দেরও ভীষণ টানবে।
লুৎফর রহমান রিটন দেশের প্রখ্যাত ছড়াকার। তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা শতাধিক। সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতি হিশেবে তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (২০০৭)-সহ বহু পুরস্কার পেয়েছেন। তার ছড়া দেশে-বিদেশে বাংলাভাষী পাঠকদের কাছে বিশেষভাবে সমাদৃত।
লুৎফর রহমান রিটন
জন্ম ১লা এপ্রিল ১৯৬১, ঢাকায়। শিক্ষা : ১৯৭৯ সালে নবাবপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি; ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৮১ সালে এইচএসসি; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ১৯৮৯ সালে আবুজর গিফারি কলেজ থেকে স্নাতক। ইতোমধ্যে তাঁর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৯০ ছাড়িয়ে গেছে। পুরস্কার পেয়েছেন অনেকগুলো। যেমনÑসিকান্দার আবু জাফর সাহিত্য পুরস্কার ১৯৮২, অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কার ১৯৮২ ও ১৯৯৬, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পুরস্কার ১৯৮৪ এবং বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার ২০০৭। পেশা হিসেবে নিয়েছেন প্রধানত সাংবাদিকতাকে। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায় বিভাগীয় ও নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র থেকে প্রকাশিত কিশোর-তরুণদের উৎকর্ষধর্মীয় মাসিক আসন্ন ও ছোটদের মাসিক পত্রিকা ছোটদের কাগজ সম্পাদনা করেছেন বেশ কয়েক বছর। টেলিভিশনের উপস্থাপক ও নাট্যকার হিসেবেও খ্যাতিমান। বাংলা একাডেমীর নির্বাচিত কাউন্সিল সদস্যের দায়িত্ব পালন করেছেন (১৯৯৯-২০০২)। জাপানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি, প্রেস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন (জুন ২০০১-ফেব্রুয়ারি ২০০২)। বর্তমানে স্ত্রী শার্লি ও কন্যা নদীসহ কানাডা-প্রবাসী।