রূপা সবসময় আদর্শ মেয়ে হতে চেয়েছে। শান্তশিষ্ট মেয়ে রূপা জানে সে একসময় বাবা-মায়ের ঠিক করে দেওয়া ছেলেকে বিয়ে করে অন্য সবার মতো একটা ঢেউহীন জীবন পার করে দেবে। কিন্তু জীবনে সবকিছু হিসেব করে হয় না। জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় প্রজাপতি উৎসবে সুদর্শন রঞ্জনের সাথে দেখা হয় রূপার। রঞ্জনের প্রেম নিবেদন রূপা অগাহ্য করতে পারে না। রূপার বান্ধবীদের অবস্থাও তথৈবচ। রূপার রুমমেট মিতি আগে থেকেই হাবুডুবু খাচ্ছে ভবিষ্যৎ শিক্ষক রায়হানের প্রেমে। আরেক বান্ধবী মিলির পেছনে লেগে আছে মধ্যবয়সি ব্যাচেলর কুদ্দুস স্যার। রূপার বান্ধবীদের মাঝে সবচেয়ে অদ্ভুত অতন্দ্রিলা। সে সিগারেট-গাঁজা খায়, কিছুদিন পরপর প্রেমিক পালটায়, ঠোঁটে তার কালো লিপস্টিক, গায়ে সবসময় কালো রঙের পোশাক। একদিন অতন্দ্রিলা ওর কিশোরবেলার গোপন দুঃখের কথা রূপাকে জানায়, যে দুঃখ তার জীবন আমূল পালটে দিয়েছে। রঞ্জনকে অতন্দ্রিলার ভালো লাগেনি। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে সে রূপাকে সতর্ক করে। কিন্তু রূপা তখন রঞ্জনে মুগ্ধ, সে ভেসে যাচ্ছে প্রেমের উত্তাল জোয়ারে। একদিন খবর এলো রূপার মায়ের ডিমেনশিয়া হয়েছে— তিনি ক্রমশ স্মরণশক্তি হারাচ্ছেন। রূপার বাবার ইচ্ছে— সবকিছু ভুলে যাবার আগেই রূপার মা দেখে যাক তার মেয়েটা বিয়ে করে জীবনে সুস্থির হয়েছে। ঠিক তখন থেকেই ঘটতে তাকে রূপা, মিলি, মিতি আর অতন্দ্রিলার জীবনে নানা পরিবর্তন। যে রূপা সবসময় একটা আদর্শ মেয়ে হতে চেয়েছিল, তার কি এত অঘটন প্রাপ্য? অন্ধকার সুরঙ্গের শেষে মিলবে কি আলোর দেখা?