ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ নিত্যদিনের মতো দরজা খোলাই ছিল সমত রহমানের। মেয়েটা এসেছে। সালাম দিয়েছে।চেয়ার বসেছে এর পর কোনো রকম ভূমিকা-উপক্রমিকা ছাড়াই শুরু করেছে উপসংহারের আবেদন। স্যার, গত তিনদিন -তিনরাত আমি নির্ঘুম। আমার কাছের মানুষটির ,ভালোবাসার ব্যাক্তিটি আমার পাশে নেই। এই শহরে একসময় যার ওপর সবচেয়ে বেশি নির্ভর করতাম, নে-ই যখন নিখোঁজ । আমি তাকে কোথায় খুঁজে বের করবো, তা নয়! সারা দিন শুধু দুশ্চিন্তা আর দুশ্চিন্তা। নিজেকে নিয়ে চিন্তা। র্যাব-পুলিশ-প্রসাশনকে আসছে না আমার কাছে! স্যার , আইনের যেমন দায়িত্ব নিখোঁজের খোঁজ করা, তেমন তার পরিবার-স্বজন ,বন্ধু-বান্ধব, তাদের কে বিপদ থেকে রক্ষা করাও তো কর্তব্য। শোনো অপলা । আমি যদি এসব কম বুঝি। তবে খুব বেশি পুলিশি ঝামেলা হলে, তোমাকে একটা পরামর্শ
তৌহিদুর রহমান
জন্ম ১১ সেপ্টেম্বর ১৯৭৫ সালে। বাবা এম.এ. মজিদ সরকার, মা লায়লা মজিদ। স্থায়ী নিবাস কুড়িগ্রাম। চার ভাই-বােনের মধ্যে সবার ছােট তিনি। চাকরিজীবী বাবার বদলির সুবাদে দশ স্কুল, তিন কলেজ আর আট জেলায় শিক্ষাজীবন। পিএইচডি হিসাববিজ্ঞানে। মেধাবী ছাত্র হিসেবে প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন প্রতিটি বিদ্যায়তনে। পেশায় শিক্ষক। বিচরণ লেখক হিসেবে। স্বপ্ন দেখেন দেশে একটি স্বতন্ত্র সাহিত্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার। কুড়িগ্রাম জেলার নিভৃত গ্রাম মধুপুরের আপন আঙিনায় তৌহিদুর রহমান সাহিত্য পরিষদ গড়বার।
লেখালেখির শুরু ছাত্রজীবনে । উপন্যাস, ছােটগল্প, কবিতা, ছড়া, ছাপা হতাে বিভিন্ন স্থানীয়-জাতীয় দৈনিকে। লেখক হিসেবে প্রাপ্ত পদকগুলাের মধ্যে বনলতা সাহিত্য পদক, অতীশ দীপঙ্কর স্বর্ণপদক, দেওয়ান হাছনরাজা, মহাকবি কায়কোবাদ স্বর্ণপদক উল্লেখ্য। উল্লেখযােগ্য প্রাপ্ত সম্মাননা: মহাত্মা গান্ধী পিস অ্যাওয়ার্ড, বামসাফে, ইউনাইটেড টেলিফিল্ম, স্বাধীনতা সংসদ, মাদার তেরেসা রিসার্চ সেন্টার।
উপন্যাসে স্বাচ্ছন্দ্যবােধ করলেও কবিতা, ছােটগল্প, শিশু-কিশাের সাহিত্য সবদিকে তাঁর সমান বিচরণ।