উপন্যাসটির মূল অঙ্গীকার যৌন স্বাধীনতা। মাহি যৌন স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে, তবে তা-ও যাকে ভালোবাসে তাকে বাদ রেখে। মাহির সঙ্গে ঈশিতার মানসিক ও শারীরিক সম্পর্ক হলেও সে মাহির শৃঙ্খলে বাঁধা পড়ে জীবনের স্বাভাবিক চাহিদার সঙ্গে আপস করতে নারাজ। আর দশটা বাঙালি নারীর মতো কৈশোরে থেকে তার জীবনও ধর্মীয় মূল্যবোধে শৃঙ্খলিত হতে থাকলেও এখন সে তা অতিক্রম করে বেরিয়ে আসছে। তবে তার পথ বৈপ্লবিক নয়, কৌশলের; যে কৌশলের কাছে বলি হয় মাহির হেজিমনি-তথাকথিত প্রেম ও দুরভিসন্ধি। শেষ পর্যন্ত পারিবারিক বন্ধন, সামাজিক ট্যাবু, ধর্মীয় শৃঙ্খল ছিড়ে ঈশিতা হয়ে ওঠে এক যৌন স্বাধীনতার প্রতীক। যৌন স্বাধীনতার পাশাপাশি অসম বয়সের প্রেম, পরকীয়া, সমকামিতার জটিল মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস ঈশিতার দেহতত্ত্ব।