ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ মুয়াম্মার আল গাদ্দাফি লিবিয়ার মরু শহর সির্তে ১৯৪২ সালে জন্ম । ১৯৬৫ সালে হন সেনা কর্মকতা। ১৯৬৯ সালে গঠন করেন একটি বিপ্লবী কমিটি এবং ইউরোপীয় উপনিবেশকদের দাস্যজীবী ইদ্রিস আল-মেহ্দির রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে সফল অভ্যূত্থানে নেতৃত্ব দেন। রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৭ পর্যন্ত রেভল্যুশনারি কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান। ১৬ জানুয়ারি ১৯৭০ থেকে ১৬ জুলাই ১৯৭২ পর্যন্ত লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী। ২ মার্চ ১৯৭৭ থেকে ২ মার্চ ১৯৭৯ পর্যন্ত লিবিয়ার গণ-কংগ্রেসের মহাসচিব। ১৯৭৭ সালে জামাহিরিয়া (গণরাষ্ট্র) প্রতিষ্ঠার পর আনুষ্টানিকভাবে মহতা থেকে সরে যান এবং সরকার কাঠামোর মধ্যে ২ মার্চ ১৯৭৯ থেকে ২৩ আগস্ট ২০১১ পর্যন্ত ভ্রাতৃপ্রতিম নেতা ও গাইড হিসেবে প্রতীকী ভূমিকা নেন। গাদ্দাফির প্রথম স্ত্রী ছিলেন ফাতিহা আল নুরী(১৯৬৯-১৯৭০)। দ্বিতীয় স্ত্রী সাফিয়া ফারকাশ (১৯৭০ -২০১১)। গাদ্দাফির সন্তান আটনি, এক মেয়ে ও সাত ছেলে। পালিত ছেলে-মেয়ে দুটি। মেয়েটি মাত্র চার বছর বয়সে ১৯৮৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় নিহত হয়। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে পশ্চিমা শক্তিবর্গের মদদে লিবিয়অয় শুরু হয় বিদ্রোহ।ভ যুদ্ধে যখন বিদ্রোহীরা পরাজয়ের মুখে সে সময় লিবিয়ায় সরাসরি হামলা চালায় ফ্রান্স,ব্রিটেন,ইতালি, যুক্তরাষ্টের অংশগ্রহণে ন্যাটোর নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশন বাহিনী। ২০ অক্টোবর নিহন হন গাদ্দাফি। গাদ্দাফির গল্পসংকলন ১৯৯৬ সালে আরবি থেকে ফারসি ভাষায় অনূদিত হয়। ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশিত হয় ১৯৯৬ সালে লন্ডন থেকে। ইংরেজী সংস্করণের নাম ‘ইস্কেইপ টু হেল অ্যান্ড আদার স্টোরিজ’ । বইটিতে রয়েছে বারোটি গল্প।
সূচিপত্র *নগর *গ্রাম *পৃথিবী *নভোচারীর আত্মহত্যা *দোজখে পলায়ন *আশীর্বাদপ্রাপ্ত লতাপাতা ও অভিশপ্ত বৃক্ষ *মৃত্যু *ইয়াকুবের অভিশপ্ত পরিবার এবং আশীর্বাদপ্রাপ্ত কাফেলা *নতুন চাঁদ দেখলে রোজা বন্ধ কর *শেষ শুক্রবারের প্রার্থনা *প্রার্থনাহীন শুক্রবার *দিনমানের মুসাহ্হারাতি