আচমকা একদিন বায়োকেমিস্ট্রি ল্যাব থেকে কল করে জানানো হলো ডঃ শায়নাকে, পেশেন্টের ব্লাড স্যাম্পলে পাওয়া গেছে গ্রুপ ফোরের ধাতব পদার্থ, যা স্বাভাবিক অবস্থায় পাওয়ার কথা নয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই অতর্কিতে হত্যা করা হলো বায়োকেমিস্ট্রি ল্যাবে কর্মরত শর্মিকে। রহস্য সমাধানের জন্য বায়োকেমিস্ট্রি ল্যাবে গিয়ে শায়না দেখা পেল শর্মির হবু বর অর্কর। ক্রমশ উঠে এল অতি গোপন প্রকল্প প্রোজেক্ট ক্রিপ্টিকের কথা, ওদের সিক্রেট ভল্ট থেকে এ আই এর ডিজাইন চুরি হয়ে যাওয়ার কথা, ওই চুরিতে সন্দেহভাজনদের তালিকায় শর্মির নাম থাকবার কথা। শায়নার জীবনসঙ্গী তুহিনের অফিসে ওকে চমকে দিতে গিয়ে শায়না ও তিশা সম্মুখীন হলো কড়া নিরাপত্তা বলয়ের। তুহিনকে না জানিয়ে তার অফিসের ট্যাব খুলে এনক্রিপ্টেড লেখা ফোল্ডার ওপেন করতেই অজানা কারণে প্রচণ্ড রেগে গেল তুহিন। তুহিনের এই রুদ্র মূর্তির কারণ কী?
শর্মি, অর্ক দুজনেই শায়নাকে কেন বার বার করে মনে করিয়ে দিচ্ছিল তার মেয়ে তিশার দিকে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে? ভুলে ঘুমের ওষুধ মেশানো দুধ খেয়ে কোনো ক্ষতি হবে না তো তিশার?
মৌলী আখন্দ
পৃথিবীতে কিছু মানুষ বুকের গহিনে বয়ে বেড়ায় এক সমুদ্র কথা কিন্তু সামনে থাকা মানুষটিকে বলবার মতো কিছু খুঁজে না পেয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটায় নির্বাক নিশ্চুপ। মৌলী আখন্দ সেইসব অসামাজিক নিভৃতচারী মানুষদের মধ্যে একজন। তাঁর জন্ম ১৯৮৬ সালে ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। বেড়ে ওঠা ও বসবাস ঢাকায় । এক কন্যার জননী। পড়াশোনা হলিক্রস স্কুল ও কলেজে। পেশায় তিনি একজন চিকিৎসক। শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ, বরিশাল থেকে এম বি বি এস পাস করে মা ও শিশু স্বাস্থ্য বিষয়ে মাস্টার্স করেছেন। বর্তমানে শিশু মেডিসিন বিষয়ে কর্মরত । নেশা বই পড়া, উঁইপোকার মতো পুরির ঠোঙা থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পর্যন্ত সবই পড়তে ভালোবাসেন। স্বপ্ন দেখেন বৈষম্যমুক্ত পৃথিবীর, যেখানে নারী পুরুষ ধনী গরিব সবাই পাবে সমান সুযোগ ও অধিকার। লেখকের এ পর্যন্ত প্রকাশিত বই “একা”, “ইট রঙের বাড়ি”, “যে জীবন দোয়েলের”, “এখানে রোদ নেই”, “আলোকের এই ঝরনাধারায়”, “সর্পিল”, “আমাদের মেঘবাড়ি”, “নির্মোক”, “স্বপ্নচূড়া” ও “শঙ্কিত শর্বর”। তাঁর সম্পাদিত গল্প সংকলন “শূন্যপুর” বোদ্ধা মহলে প্রশংসা কুড়িয়েছে। প্রথম প্রকাশিত বই “একা”র জন্য অর্জন করেছেন পাললিক সৌরভ তরুণ লেখক সম্মাননা ২০২১ এবং “এখানে রোদ নেই” বইটির জন্য ভূষিত হয়েছেন ২০২১ চলন্তিকা সাহিত্য প্রতিযোগিতায় সেরা উপন্যাসের পুরস্কারে।
মৌলী বিশ্বাস করেন গল্প হলো জীবনের আয়না । সেই আয়নায় জীবনের স্পষ্ট ছবি তুলে ধরতে প্রতিদিন আয়নাটা মুছে পরিষ্কার করেন তিনি। তাই লিখে যান অবিরাম ।