নেতা হতে হলে নেতৃত্বের গুণাবলি থাকা চাই। আর তাই নেতৃত্বের গুণাবলি বা লিডারশীপ স্কিল নিয়ে আজকাল বেশ আলোচনা হচ্ছে। একজন আদর্শ নেতার যে গুণটাকে গবেষকরা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন, তা হলো ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স। অর্থাৎ, অপরের হৃদয়ের অনুভূতি বোঝার মানবীয় দক্ষতা।
মজার ব্যাপার হলো, হালের এই বিশেষ স্কিল নিয়ে আজ থেকে প্রায় সাড়ে চৌদ্দশো বছর আগেই কাজ করে গিয়েছেন আমাদের প্রিয় রাসূল মুহাম্মাদ (সাঃ)। শুধু তাই নয়, নিজের পবিত্র জীবনে এই গুণের এমন সর্বোচ্চ ও সুচারু প্রয়োগ ঘটিয়েছেন যে, এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ের কোনো একাডেমিক আলোচনা ক্ষেত্রবিশেষে তাঁর ধারেকাছেও পৌঁছাতে পারেনি।
নবিজির সেই বিশেষ গুণটি নিয়েই আমাদের এই বই—ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স। এতে কোনো রকমের তত্ত্বকথা না কপচিয়ে নবিজির পবিত্র সীরাতের ঘটনাগুলোকে বাস্তবধর্মী দৃষ্টিকোণ থেকে আলোচনা করা হয়েছে। এতে আপনি সীরাতের ঘটনাগুলোকে ভিন্ন আঙ্গিকে ভাবতে পারবেন।
এছাড়াও নিজের ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্সের অবস্থান বুঝার জন্যে বইটিতে একটি চেকলিস্ট দেওয়া হয়েছে—যা আত্মোন্নয়নের পথে আপনাকে আরও একধাপ এগিয়ে নেবে। সর্বোপরি বইটি একজন সচেতন প্র্যাক্টিসিং মুসলিমের জন্যে হবে উন্নত মানসিকতা গঠনের বুনিয়াদ, ইন শা আল্লাহ।