ঈমান ভঙ্গের কারণ (নাওয়াকিদুল ইসলাম এর ব্যাখ্যা)
বইবাজার মূল্য : ৳ ১১৭ (৩০% ছাড়ে)
মুদ্রিত মূল্য : ৳ ১৬৭
প্রকাশনী : সীরাত পাবলিকেশন
বিষয় : ইসলামি বিবিধ বই , বইমেলা ২০২০
রাদ সাহেবের মন খারাপ। কারণ, উনার সহকর্মী মুরারীচাদ মারা গেছেন। বড্ড অমায়িক লোক ছিলেন। দুজন একই স্কুলে পড়াতেন। মুরারীচাদ ব্রাক্ষণ পরিবারের লোক, হিন্দু ধর্মের সকল রীতিনীতি আজীবন পালন করে মুশরিক হিসেবেই মারা গেছেন। মুরারীচাদের মৃত্যু উপলক্ষে করা স্কুলের শোকসভায় রাদ সাহেব বক্তৃতা রেখে বললেন, "আমি আশা করি মুরারী সাহেব এখন বেহেশতে আরাম করছেন। উনি যেখানেই থাকেন ভালো থাকবেন।" উনার এক ছাএ ক্লাসের পর জিজ্ঞেস করলো, "আচ্ছা,মুরারী স্যার তো হিন্দু। উনি কীভাবে বেহেশতে যাবেব?" ; জবাবে রাদ সাহেব বললেন, " আরে, ভালো মানুষদের জন্যই তো বেহেশত। উনি উনার স্বর্গে যাবেন। আর আমরা যাবো আমাদের জান্নাতে!" এই বইয়ে এমন দশটি বিষয় ব্যাখ্যা করা হয়েছে, যার কারণে একজন মানুষ ঈমানহারা হয়ে পড়তে পারে। হয়ত সে জানেও না, হয়ত সে একেবারে বেখবর, বুঝতেও পারছে না কখন সে জাহান্নামের পথে হাঁটা ধরেছে। এসব বিষয় জেনে নিয়ে ঈমান রক্ষার শক্ত এক রক্ষাকবচ তৈরি করা তাই প্রতিটি মুসলিমের জন্য অতীব জরুরী। বই- ঈমান ভঙ্গের কারণ লেখক - শাইখ সুলায়মান ইবনু নাসির আল উলওয়ান।
ঈমান ভঙ্গের কিছু মৌলিক কারণ:- আল্লাহ এবং বান্দার মাঝে কাউকে মধ্যসতকারী বানানো মুশরিক ও কাফিরদের কাফির মনে না করা। বাতেনীভাবে নামায-রোযা আদায়ের কথা বলা। আল্লাহর ইবাদতে কাউকে শরীক করা। যেমন: আল্লাহ ব্যতীত কাউকে সেজদা করা, মাজারে গিয়ে মাজারওয়ালার কাছে কিছু চাওয়া। দ্বীনের হুকুম-আহকামকে বোঝা মনে করা। মৌলিকভাব দ্বীনকে অপছন্দ করা। আল্লাহ এবং বান্দার মাঝে মাধ্যম স্থির করা। যেমন: নিজে সরাসরি কোন কিছু আল্লাহর দরবারে না চেয়ে পীরের মাধ্যম ধরে চাওয়া। একথা মনে করা যে, নিজে চাইলে পাওয়া যাবেনা, পীর চেয়ে দিলে পাওয়া যাবে। কাফের-মুশরিকদের কাফের মনে না করা অথবা তাদের কুফুরীর ব্যাপারে সন্দেহ করা বা তাদের ধর্মকে সঠিক মনে করা। যেমন: এমন আকীদা পোষণ করা যে, বর্তমানে ইসলাম ব্যতীত অন্য ধর্ম পালণ করেও জান্নাতে যাওয়া যাবে। রাসূল সা. এর আনীত দ্বীনের চেয়ে অন্য কোন সংবিধানকে পূর্ণাঙ্গ মনে করা কিংবা মানব রচিত সংবিধানকে ইসলামী শরিয়াহ থেকে উত্তম মনে করা। যেমন: বর্তমান যুগে ইসলামী শরিয়াহকে অচল মনে করা। ইসলামী বিধানকে বর্বর বলে আখ্যায়িত করা আর মানব রচিত সংবিধানকে উত্তম ও যুগোপযোগী মনে করা। দ্বীনের কোন বিষয় নিয়ে উপহাস করা। যেমন: দাড়ি, টুপি, মেসওয়াক নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করা। যাদু করা বা কুফুরী কালাম করা। কাউকে শরীয়তের উর্ধে মনে করা। যেমন: মারেফতের ধোঁয়া তুলে নিজেকে ইসলামের হুকুম আহকামের উর্ধে মনে করা। দ্বীন থেকে বিমুখ থাকা। দ্বীনের জরুরি বিষয়গুলো শিখতে না চাওয়া, দ্বীনের আলোচনা থেকে দূরে সরে যাওয়া। উপরের গুলো সাধারণত ঈমান ভঙ্গের মুল কারণ,,,, তাই বইটি পড়লে ঈমান ভঙ্গের মুল কারণ গুলো সহজে বুঝতে পারবেন,,,