ক্রোধ, গাও দেবী পেলিউসপুত্র অ্যাকিলিসের ক্রোধের কাহিনী’ (লাল রঙে) ইলিয়াড গ্রিক সভ্যতার প্রথম ও প্রধানতম সাহিত্যিক অর্জন—ইলিয়ন (ট্রয়) নগরকে নিয়ে গাওয়া এই মহাকাব্যিক গাথার কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী বিশ্বসাহিত্যে নেই। আজ প্রায় তিন হাজার বছর ধরে ইলিয়াড স্বীকৃত হয়ে আছে পশ্চিমা সভ্যতার ভিত্তিমূল হিসেবে। টলস্টয় ইলিয়াডকে বলেন, ‘অলৌকিক’, গ্যেয়টে বলেন এই মহাকাব্য তাকে ‘সবসময় ঠেলে দেয় আশ্চর্য বিস্ময়ের জগতে’, হ্যারল্ড ব্লুম বলেন ‘বাইবেল ও ইলিয়াড-এর মধ্যেই আছে পশ্চিমা সাহিত্য, চিন্তা ও আধ্যাত্মিকতার—আরও বৃহৎ অর্থে বললে পুরো পশ্চিমা সংস্কৃতিরই—ভিত্তি’, আর আলেকজান্ডার পোপ বলেন ইলিয়াড ‘এক বন্য বেহেশত্’। ট্রোজান যুদ্ধের দশম বছরে মাত্র পঞ্চাশটি অন্ধকারতম দিনের এ-কাহিনীর শুরু গ্রিক বীর অ্যাকিলিসের খুনে ক্রোধের ঘোষণা রেখে, আর শেষ ট্রোজান বীর হেক্টরের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায়। আর মাঝখানের রাজসিক পংক্তিগুলিতে রক্ত ঝরিয়ে হেঁটে চলেছে কিংবদন্তীর ট্রোজান বীরেরা: প্রায়াম, হেক্টর, প্যারিস, ঈনিয়াস; এবং গ্রিক পক্ষে অ্যাকিলিস, অ্যাজাক্স, আগামেমনন, মেনেলাস, প্যাট্রোক্লাস ও অডিসিয়ুস (ইউলিসিস); আর ট্রয়ের নগরপ্রাকারের ওপরে দাঁড়িয়ে এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ দেখছে এক পরমাসুন্দরী রানি, নাম তার হেলেন—তাকে কেন্দ্র করেই শুরু এ সবকিছুর। সেইসঙ্গে মানুষের এ যুদ্ধক্ষেত্রের ওপরে দীর্ঘ ছায়া ফেলে দাঁড়িয়ে আছে দেবদেবীরাও: জিউস, পসাইডন, অ্যাপোলো, হেরা, অ্যাথিনা ও আফ্রোদিতি, যার যার স্বার্থ মাথায় নিয়ে। ১৫,৬৯৩ লাইনের এ মহাকাব্যটির এতো নিখুঁত ও বিশ্বস্ত বাংলা অনুবাদ আর কখনোই হয়নি। পার্স করা (বাক্যের অন্তর্গত শব্দগুলির পারস্পরিক সম্পর্ক নির্দেশ ও ব্যাকরণগত বিশ্লেষণ করা) এক গ্রিক-ইংরেজি ইন্টারলাইনার টেক্সটের ওপর ভিত্তি করে রচিত এই বাংলা অনুবাদ লাইন-বাই-লাইন হোমার। এতে কিছুই যোগ করা হয়নি যা মূল হোমারে নেই, আর কিছুই বাদ দেওয়া হয়নি যা মূল হোমারে আছে। সঙ্গে থাকছে • বিশদ ভূমিকা • প্রতি পর্বের শুরুতে সারসংক্ষেপ ও বিষয়বস্তুঃ • মোট ৭২৩টি গুরুত্বপূর্ণ টীকা • পর্বগুলির পূর্ণাঙ্গ পাঠ-পর্যালোচনা • সাতাশটি অমূল্য ছবি •টলস্টয় ও হ্যারল্ড ব্লুমের নিবন্ধ • মানচিত্র • হোমেরিক কালপঞ্জি