একটি শোক সংবাদ, গল্পটা শুরু করার পেছনে তেমন কোনো যৌক্তিক কারণ ছিলোনা, একদিন হঠাৎ মনে হলো দ্বিতীয় উপন্যাস লেখা শুরু করা প্রয়োজন। তবে মাথায় কোনো প্লট নেই, প্লট খুঁজলাম কিছুই পাচ্ছিনা। ভাবলাম নিজেকে নিয়ে লেখি কিছু, নিজেকে একটা চরিত্রে আবদ্ধ করি, কিন্তু আমিতো গোপনীয়তা পছন্দ করি, সেটা চরিত্রে তুলে ধরলে সবাই আমাকে টুকটাক বুঝে ফেলবে, তখন সেই চিন্তাও বাদ দিয়েছি, নতুন চিন্তা হিশেবে মাথায় নিলাম প্রাইমারী স্কুল বয়সে তিন গোয়ান্দার গল্প পড়ে একবার আমার গোয়েন্দা হওয়ার স্বপ্ন জেগেছিলো, দীর্ঘদিন এই স্বপ্ন মনে বুনে বসে ছিলাম, কেনো যেনো সেটাও উড়ে গেছে, পড়ার চাপে বা ফাঁকিবাজির চাপে। তারপর খুব একটা গোয়েন্দা গল্প/উপন্যাস পড়া হয়নি এখনো হয়না।
নতুন গল্পের জন্য তখন প্রধান চরিত্র হিশেবে সেই শৈশবের স্বপ্নের/ইচ্ছার আমিকে বাঁছাই করে একটা গোয়েন্দা চরিত্র সৃষ্টি করে নিলাম, তখনও শুখনো মগজে কোনো প্লট মিলছিলোনা, প্লটের জন্য এদুয়ার ওদুয়ার দৌড়ে বেড়িয়েছি কতদিন কতরাত। গ্রামে থাকার সুবাদে একদিন চোখ বুলিয়ে দেখি কতগুলো প্লট দাঁড়িয়ে আছে আমার দুয়ারে এবং আমার আশেপাশে প্রতিটা পরিবারের দুয়ারে। তারপর বাছাই করা প্লটের বিষয়টা রিসার্চ করলাম অনেকের সাথে আলোচনায় বসেছি, কয়েকটা চরিত্র তুলেছি। মানুষের ভেতর বাহির থেকে কিছু সংলাপ চরিত্র ধার নিয়েছি, একটা পর্যায় খেয়াল করলাম প্রতিটা মানুষই খোলসের আড়ালে থেকে আমার সাথে আলোচনায় বসছে, স্পষ্ট আমি তাদের খোলস ধরতে পারছিলাম। সেখান থেকেও কিছুটা অভিজ্ঞতা ধার নিয়েছি, গভীর মনোযোগে একটি অগোছালো পাণ্ডুলিপি সম্পূর্ণ করি, এবং দুইবছর সময় কাটিয়ে ধম লাগিয়ে আপনাদের জন্য পরিপূর্ণ একটি গোয়েন্দা উপন্যাস দাড় করাতে সম্ভব হয়েছি আশা করি।