নাম!
তুর্য।
নাম শুনে মৌলবি সাহেব বললেন, তূর্য-ফুর্য নাম চলবে না। এসব হিন্দু নাম। আজ থেকে তোমার নাম মো. আবুল ফজল।
নিজের নামের জন্য সবাইকে অন্যের ওপর নির্ভর করতে হয়। তুর্যের বেলায়ও তাই। তুর্য মানে রণবাদ্য। বাবা কী জানি কী মনে করে এই নামেই ডাকতেন। চার বছর বয়সে বাবা যখন তাকে মক্তবে ভর্তি করালেন, সেই থেকে হয়ে গেল সার্টিফিকেট নাম মো. আবুল ফজল। নিবাস: ভোলা, পোস্ট অফিস: বোরহানউদ্দিন, সাকিন: কুসুমপুর।
মাঝরাতে রাস্তায় একা একা হাঁটছে। বইছে শীতের কনকনে হিমেল হাওয়া। চারদিক ভারি নির্জন আর নিরিবিলি। সত্তর বছরের থুথুরে বুড়ির মতো রাতটা ঝিমোচ্ছে। এই নিস্তব্ধ রাতে ওর জীবন কিছুটা এবড়োখেবড়ো; যেন আফগানিস্তানের মানচিত্র।