ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় একবার রোকেয়া হলের এক সিনিয়র আপুর প্রেমে পড়লাম। ঢাবির প্রত্যেক সেশনেই দুই-একজন ‘ক্যাম্পাস কাঁপানো সুন্দরী’ থাকে – এই আপু সেইরকমই একজন ‘ক্যাম্পাস কাঁপানো সুন্দরী’ (ক্যাকাসু) ছিলেন।
অসাধারণ গান গাইতেন – রেডিওর তালিকাভুক্ত শিল্পী ছিলেন। সে আমলেও রেডিওর তালিকাভুক্ত শিল্পীরাও বেশ আলগা ভাব নিতে পারতেন – উনিও নিতেন।
আমি তখন সেকেন্ড কি থার্ড ইয়ারে পরি- ক্যাকাসু পরেন মাস্টার্সে। আমরা ছিলাম ‘টঙমেট’ অর্থাৎ দু’জনেই একি টঙ্গে আড্ডা দিতাম। তবে উনি উনার সার্কেল নিয়ে আড্ডা দিতেন, আর আমি আড্ডা দিতাম আমার সার্কেল নিয়ে।
ধীরে ধীরে তার সাথে একটি মধুর সম্পর্ক গড়ে ওঠে আমার, যদিও সেই সম্পর্ককে প্রেম বলা যাবে কিনা আমি জানি না।
একজন ক্যাকাসু সেই মধুর সম্পর্কেরই গল্প।
নব্বইয়ের দশকের শেষদিকে যারা ইউনিভার্সিটি জীবন কাটিয়েছে, এই উপন্যাস তাদের জন্য।
যারা জীবনে একবারের জন্য হলেও সিনিয়রের প্রেমে পড়েছেন, এই উপন্যাস তাদের জন্য।
আর যারা জীবনে একবারের জন্য হলেও প্রেমে পড়েছেন, এই উপন্যাস তাদের জন্যও।