“এখানে রোদ নেই” চার বোনের গল্প। মোহনা, সান্ত্বনা, প্রেরণা আর সমাপ্তি। দুই কন্যাসন্তানের পর পুত্রসন্তানের আশায় প্রেরণা আর সমাপ্তির জন্ম।
বড়ো মেয়ে মোহনা অনেক ভালোবাসা পেয়েছে পরিবারের। কিন্তু যখন সে মেডিক্যালে চান্স পায় না, পরিবারের সাথে সম্পর্ক একদিকে হতে থাকে নড়বড়ে অন্যদিকে আসিফের সাথে বন্ধন হয়ে ওঠে পাকাপোক্ত। আসিফের ঘোর থেকে মোহনা বের হতে পারবে নাকি নিয়ে নেবে কোনো ভুল সিদ্ধান্ত?
সান্ত্বনার কিশোরী মনে স্বপ্ন থাকে লাল টুকটুকে বউ সেজে বিয়ে করবে। কিন্তু বিয়ের পর তার জীবনে শুরু হয় কালবৈশাখী ঝড়। যে ঝড় তাকে ঠেলে দেয় মৃত্যুমুখে।
কী হয় ছোট্ট সমাপ্তির?
প্রেরণা কি পারবে এই বিধ্বস্ত পরিবারে প্রেরণার আলো নিয়ে আসতে?
পরিবার ও সমাজের যে অন্ধকারময় কোণে কখনও রোদ এসে পৌঁছায় না, সেখানে কি এসে পৌঁছাবে এক টুকরো রোদ?
মৌলী আখন্দ
পৃথিবীতে কিছু মানুষ বুকের গহিনে বয়ে বেড়ায় এক সমুদ্র কথা কিন্তু সামনে থাকা মানুষটিকে বলবার মতো কিছু খুঁজে না পেয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটায় নির্বাক নিশ্চুপ। মৌলী আখন্দ সেইসব অসামাজিক নিভৃতচারী মানুষদের মধ্যে একজন। তাঁর জন্ম ১৯৮৬ সালে ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। বেড়ে ওঠা ও বসবাস ঢাকায় । এক কন্যার জননী। পড়াশোনা হলিক্রস স্কুল ও কলেজে। পেশায় তিনি একজন চিকিৎসক। শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ, বরিশাল থেকে এম বি বি এস পাস করে মা ও শিশু স্বাস্থ্য বিষয়ে মাস্টার্স করেছেন। বর্তমানে শিশু মেডিসিন বিষয়ে কর্মরত । নেশা বই পড়া, উঁইপোকার মতো পুরির ঠোঙা থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পর্যন্ত সবই পড়তে ভালোবাসেন। স্বপ্ন দেখেন বৈষম্যমুক্ত পৃথিবীর, যেখানে নারী পুরুষ ধনী গরিব সবাই পাবে সমান সুযোগ ও অধিকার। লেখকের এ পর্যন্ত প্রকাশিত বই “একা”, “ইট রঙের বাড়ি”, “যে জীবন দোয়েলের”, “এখানে রোদ নেই”, “আলোকের এই ঝরনাধারায়”, “সর্পিল”, “আমাদের মেঘবাড়ি”, “নির্মোক”, “স্বপ্নচূড়া” ও “শঙ্কিত শর্বর”। তাঁর সম্পাদিত গল্প সংকলন “শূন্যপুর” বোদ্ধা মহলে প্রশংসা কুড়িয়েছে। প্রথম প্রকাশিত বই “একা”র জন্য অর্জন করেছেন পাললিক সৌরভ তরুণ লেখক সম্মাননা ২০২১ এবং “এখানে রোদ নেই” বইটির জন্য ভূষিত হয়েছেন ২০২১ চলন্তিকা সাহিত্য প্রতিযোগিতায় সেরা উপন্যাসের পুরস্কারে।
মৌলী বিশ্বাস করেন গল্প হলো জীবনের আয়না । সেই আয়নায় জীবনের স্পষ্ট ছবি তুলে ধরতে প্রতিদিন আয়নাটা মুছে পরিষ্কার করেন তিনি। তাই লিখে যান অবিরাম ।