সীমানা পার হতেই মনে হলো রহস্য উপাখ্যানের একেকটি পাতা
উন্মোচিত হতে শুরু করে। একাত্তরে আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল প্রতিবেশী ভারত। বন্ধুর মতো কাঁধে হাত না রাখলে জনযুদ্ধটি দীর্ঘ হতে পারত। আবার একথাও রাজনৈতিক ইতিহাসে সত্য, ভারতও স্নায়ুর চাপ কমাতে পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল স্বাধীনতাপ্রত্যাশী পূর্ব পাকিস্তান বা বাংলাদেশের। দুই প্রান্তে পাকিস্তান নামক দেশ রেখে অস্বস্তিতে ছিল ভারতও। দুই পক্ষের ভিন্ন ভিন্ন গন্তব্য একই কেন্দ্রে এসে মিলিত হয়েছিল একাত্তরে। বন্ধু রাষ্ট্রের পাশে দাঁড়ানোর বাস্তবতার আখ্যান কম শোনা হয়নি, পড়া হয়নি। কিন্তু যখন নিজে সীমানা পেরিয়ে বন্ধু রাষ্ট্রের ভূখণ্ডে পা রাখলাম, দেখি এখনও ইতিহাসের অনেক ডায়েরি স্পর্শের বাইরে রয়ে গেছে। এ সফরে আমরাও কয়েকটি পাতা স্পর্শ করতে পেরেছি মাত্র। অজানা রয়ে গেল, যুদ্ধদিনের
না বলা, না লেখা অযুত গল্প।
তুষার আবদুল্লাহ্
স্কুল পেরিয়েই সাংবাদিকতায় কাজ করতে আসা। তারপর কেটে গেল পঁচিশ বছর। কলেজ না ডিঙোতেই প্রথম বই। শিশুদের জন্য তোমাদের প্রিয়জন। তারপর বাংলাদেশের পথে পথে, চল যাই নদীর দেশে, গাছ বন্ধু, ফুল বন্ধু, চল বড় হই। টেলিভিশন সাংবাদিকতারও যুগ একযুগ পেরিয়েছে। শুরু থেকে টেলিভিশনকে শিশুদের প্রতি সংবেদনশীল রাখার লড়াইয়ে। শিশুদের জন্য পত্রিকা ইচ্ছে প্রকাশের প্রস্তুতি চলছে। নিয়মিত সঞ্চালনা করা হয় সময় সংলাপ। সেখানেও এ প্রজন্মের শৈশব-কৈশোর উদযাপন প্রতিপাদ্য হয়ে আসে।