ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ এই উপন্যাসের শুরু হয়েছে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের দু-এক বছর আগে। যবনিকা তখন কম্পমান; অচিরেই শুরু হবে বিস্ফোরণ। ভঅরতের স্বাধীনতা আন্দোলনের চূড়ান্ত অধ্যায়, বিয়াল্লিশের আগস্ট আন্দোলন, পূর্বপ্রাচ্যে মিত্রশক্তি বাহিনীর পতন, অসম-পূর্ববঙ্গ ছেড়ে ইংরেজ সরকারের পশ্চাদপসরণের পরিকল্পনা- এই সব সময়ের মধ্যে বড় হয়ে উঠছে দুজন কিশোর। একজনের ভূমিকা দর্শকের, সে কোনও কিছুর সঙ্গেই নিজেকে মেলাতে পারে না। আর অন্যজন দুর্দান্ত ও উগ্র, সে আগুনে ঝাঁপিয়ে পড়তেও ভয় পায় না। তারা পরের পর পার হয়ে আসে দুর্ভিক্ষ, ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম দাঙ্গা এবং ভারতবিভাগের পর স্বাধীনতা।
এই উপন্যাসে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সেই তরঙ্গ-উত্তাল ঐতিহাসিক পটভূমিকাটিই শুধু চিত্রিত করেননি, তিনি সৃষ্টি করেছেন জীবন্ত মানুষের এক বিরাট মিছিল- কামনা-বাসনা, হৃদয়জ্বালা ও মৃত্যু সত্ত্বেও যারা পটভূমিকার চেয়েও বিশাল হয়ে ওঠে।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
একজন বাঙালি পাঠক হয়ে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়কে এড়িয়ে যাওয়া ভীষণ শক্ত। প্রথম আলো থেকে নীরা, কবিতা থেকে গল্প,উপন্যাস, ভ্রমণ কাহিনী, প্রবন্ধ, ছোটগল্প, দুহাতে লিখেছেন।কেবল লিখেছেন বললে ভুল হবে! লিখেছেন, আলোচিত হয়েছেন,সমালোচিত হয়েছেন কিন্তু অসংখ্য পাঠকের হৃদয়ে থেকেছেন। অসংখ্য পাঠক তাকে তুলে নেয়, পাঠ করে।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় একজন প্রথিতযশা বাঙালি সাহিত্যিক। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুর পূর্ববর্তী চার দশক তিনি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব হিসাবে সর্ববৈশ্বিক বাংলা ভাষার জনগোষ্ঠীর কাছে ব্যাপকভাবে পরিচিত ছিলেন।
জন্ম: ৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৪, ফরিদপুর জেলা
মারা গেছেন: ২৩ অক্টোবর, ২০১২, কলকাতা, ভারত
স্বামী বা স্ত্রী: স্বাতী বন্দ্যোপাধ্যায় (বিবাহ. ১৯৬৭–২০১২)
সন্তান: সৌভিক গঙ্গোপাধ্যায়
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার: আনন্দ পুরস্কার (১৯৭২, ১৯৮৯); সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার (১৯৮৫)
কুইজ: সুনীলের লেখা প্রথম বই কোনটি?