মায়রা ও মায়রন অনেক ছোট। এখনও বই পড়তে পারে না। কিন্তু বই নিয়ে খেলতে ভালোবাসে। একদিন মায়রা ও মায়রন বড় হয়ে ছোটকাকু সিরিজের বই পড়বে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বেঁচে থাকবে ছোটকাকু। সেই স্বপ্ন নিয়েই প্রতি বছর ছোটকাকু সিরিজের বই লিখে থাকেন ফরিদুর রেজা সাগর।
তার মা বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন। বাবা ফজলুল হক ছিলেন দেশের প্রথম সিনেমা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক এবং প্রথম শিশুতোষ চলচ্চিত্র প্রেসিডেন্ট এর নির্মাতা। ফরিদুর রেজা সাগর এর জন্ম ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৫। প্রায় শতাধিক ছোটদের বই লিখেছেন। আজীবন তিনি টেলিভিশনের সঙ্গে সংযুক্ত। চ্যানেল আইয়ের তিনি ব্যবস্থাপনা পরিচালক। অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা ছাড়াও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন কয়েকবার। সাহিত্যে বাংলা একাডেমি পুরস্কার (২০০৪) এবং একুশে পদক (২০১৫) পেয়েছেন। স্ত্রী কনা রেজা, দুই কন্যা মেঘনা-মোহনা।
ফরিদুর রেজা সাগর
শিশু সাহিত্য বাংলা একাডেমী পৃরস্কারপ্রাপ্ত লেখক ফরিদুর রেজা সাগরের জন্ম ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৫। মা প্রখ্যাত কথাসাহিত্যক রাবেয়া খাতুন। বাবা বাংলাদেশের প্রথম চলচ্চিত্রবিষয়ক পত্রিকা ‘সিনেমা'র সম্পাদক এবং এদেশের প্রথম শিশুচলচ্চিত্র ‘প্রেসিডেন্ট’ এর নির্মাতা ফজলুল হক। প্রেসিডেন্ট’ ছবিতে মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন ফরিদুর রেজা সাগর। শিশুসাহিত্যিক হিসেবে ফরিদুর রেজা সাগরের খ্যাতি দু'দশক ধরে। ছােটবেলা থেকে কেন্দ্রীয় কচিকাচার মেলা, চাঁদের হাট এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্মলগ্ন থেকেই তিনি শিশুকিশাের উপযােগী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত। বর্তমানে তিনি ইমপ্রেস গ্রুপের পরিচালক। এক সময় তিনি বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথেও যুক্ত ছিলেন। এখনও পত্রপত্রিকায় তিনি নিয়মিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লিখে থাকেন। তিনি ছােটদের পত্রিকা ‘টইটুম্বর’এর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য। শিশুসাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমী পুরস্কারসহ পেয়েছেন শিশুএকাডেমীর অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কার এবং ইউরাে শিশুসাহিত্য পুরস্কার ২০০৫। এছাড়াও পেয়েছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি পুরস্কার (বাচসাস), কালচারাল রিপাের্টার্স এ্যাওয়ার্ড, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (২০০২) সহ জাতীয় পর্যায়ের আরাে অনেক পুরস্কার।