সুবীর খুব ভালোবাসে।বিবাহের মাধ্যমে নিজের করে পেতে চেয়েছিল কিন্তু তারা হিন্দু-মুসলিম হওয়ায় বাধাগ্রস্থ হয়।তবুও থেমে থাকে না জীবন,সবার অমতে বিয়ে করে।সমাজ পরিস্থিতির চাপে তাদের আলাদা হতে হয়,পারমিতা মারা যায়।সুবীর অন্ধকারে তলিয়ে যায়।তারপর সে স্বাদ পায় পিতৃত্বের।সে সমস্ত সন্তানকে বাবার পরিচয় দেয় যারা বাবা-মা ছাড়া রাস্তায় বেড়ে উঠে।রাস্তা থেকে তুলে আনে নাম-পরিচয়হীন শিশুদের,যারা জানে না তাদের ধর্ম-গোত্র,যাদের পরিচয় মানুষ ছাড়া কিছু নয়।সুবীর তাদের সকল ধর্মের ধারনা দেয়, তারা যে যার পছন্দমত ধর্মকে বেছে নিয়ে সে ধর্মানুশাসন মেনে চলে।অবশেষে একদিন সমাজে জাত-ধর্ম,ধনী-গরিব নির্বিশেষে সমতা বিধান হয়,প্রতিষ্ঠিত হয় মানবতা।সবাই সব কিছু পায়,সুবীর শুধু তার মৃত স্ত্রী পারমিতাকে পায় না।সুবীর আজীবন একা।এ উপন্যাসের মুল আলোচিত বিষয় হচ্ছে এক জীবনে মানবতা বাস্তবায়িত হলে কেউই মানুষকে আলাদা আলাদা করে শ্রেনীবিন্যাস করতে পারে না। সবাই মিলে মিশে একাকার হয়ে মানবজাতিকে শক্তিশালী করবে এক পেয়ালা জীবনের মত, যে পেয়ালায় জীবনকে গুরুত্ব দেয়া হবে কোনো শ্রেণীর অস্তিত্ব থাকবে না।