প্রতিটি রাষ্ট্রেই বিল্পব কিংবা গণআন্দোলনের একটি ক্রান্ত্মিলগ্ন আছে। বাংলাদেশ কিংবা সেদিনের পূর্ব পাকিস্ত্মানের সমাজজীবনেও তেমনই একটি ক্রান্ত্মিকাল এসেছিল। সে সময়টা ছিল বাঙালির আত্মউপলব্ধি ও বিকাশের সূবর্ণ সময়। ইকবাল আজিজ তার উপন্যাসে সেই সময়টিকে খুঁজে ফিরেছেন। উপন্যাসের প্রধান চরিত্র জাহাঙ্গীর প্রতিমুহূর্তে একটি মানুষই হতে চেয়েছিল, হয়তো সমাজ ও রাষ্ট্রের ঘটনাপ্রবাহ তাকে একটি অন্ধকার পটভূমিতে দাঁড় করিয়েছে। কিন্তু শেষ মুহূর্তেও মা ও মাতৃভুমির কল্যাণচিন্ত্মাই তার জীবনের গভীরে এক অনিবার্য মাতৃমুক্তির মন্ত্র হয়ে উচ্চারিত হয়েছে।
ইকবাল আজিজ
ইকবাল আজিজ (১৯৫৫), জন্ম মাতুলালয় নাটোরে। পৈতৃক নিবাস কুষ্টিয়া। শৈশবের প্রথম তিনটি বছর কেটেছে পুরনো ঢাকার জগন্নাথ সাহা রোডে। শৈশবের বাকি সময়, কৈশোর ও যৌবন কেটেছে নাটোর, ময়মনসিংহ ও কুষ্টিয়ায়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স ও এমএ। এক অমানুষের ছায়া ইকবাল আজিজের প্রথম উপন্যাস। তাঁর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের মধ্যে আছে, প্রতীকের হাত ধরে অনেক প্রতীক (১৯৮৭), ইকবাল আজিজের প্রেমের কবিতা (১৯৯০), একটি স্বপ্নের কথা (১৯৯৩), ভালোবেসে দূরে আছি (১৯৯৮), নির্বাচিত কবিতা (২০০৭)। প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ : পানশালার সেই সবুজ ফেরেশতা। বর্তমান জীবিকা : লেখা ও গবেষণা। গবেষণার প্রিয় বিষয় পরিবেশ ও নগর। শখ : বইপড়া, গান শোনা, সিনেমা দেখা ও দেশ ভ্রমণ।