জীবন কখনো কখনো থমকে যায়। অদৃশ্য সুতোয় বাঁধা পড়ে যায় জবন কখনো কখনো থমকে যায়। অদৃশ্য সুতোয় বাঁধা পড়ে যায় সব অনুভূতি। আষ্টেপৃষ্ঠে সেই বাঁধনে কেবল জড়িয়ে যাওয়া ছাড়া আর উপায় থাকে না। আটকে যাওয়া জীবন নিয়েই মৃত মানুষের মতো সবাই ক িসামনে এগোয়? নাকি অদ্ভুত উপায়ে সেই বাঁধন খুলতে চায় কেই। জীবনে সবচেয়ে উজ্জ্বল মুহূর্তটা শেষ হয়ে গেল। অচেনা পাকি ধরার আগেই ফুডুত করে উড়ে যাওয়ার মতোই! আরিফের কাচে জীবনটা তাই অতীত দিনের খন্ড খন্ড স্মৃতির এক অন্তহীন প্রদর্শনী।
কিন্তু মায়া কি পেরেচিল ওর জীবনের সবচেয়ে বর্ণিল মুহূর্তগুলোকে অতীত হওয়ার আগেই অনুভব করতে? আরিফ কি তাকে সেই সুযোগ দিয়েছিল? দ্বিধান্বিত মায়ার কাছে আরিফ আসলে কী চায়?
প্রিয় পাঠক, বিপুলা এই পৃথিবীটা আসলে বৈচিত্র্যময় কগল্পের মায়াবী এক জাদুরঘর। স্মৃতি পুরাকীর্তি নিয়ে আমাদের সবাই এতে বিচরণ।তার মধ্য থেকে আপনাকে শোনাতে চলেছে দুটি ভিন্ন মানুষের কাছে আসার এক অদ্ভুত গল্প। আপনি এদের চেনেন কিংবা আপনিই হয়তো এদের একজন! কারণ, এইসব ভালোবাসা মিছে নয় !
আবদুল্লাহ আল ইমরান
আবদুল্লাহ আল ইমরান শৈশব, কৈশােরের মােহগ্রস্ততা থেকে লেখালেখি করছেন এক যুগেরও বেশি সময় ধরে। বুকের ভেতর এক টুকরাে সবুজ নিয়ে খুলনা থেকে ঢাকা এসেছিলেন। ঝলমলে নাগরিক প্রলােভনেও সে গেরুয়া অনুভূতি মুছে যায়নি। যায়নি বলেই ইমরানের লেখালেখি বড় অংশ জুড়ে থাকে প্রান্তিক মানুষের নিয়ত সংগ্রাম, উঠে আসে বারােয়ারি উপলব্ধিতে ঠাসা মােহান্ধ জীবনের গল্প। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে পড়াশােনা শেষ করে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন সাংবাদিকতা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইটি সােসাইটির (ডিইউআইটিএস) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইমরান জিতেছেন ২১তম টেলিভিশন বিতর্ক প্রতিযােগিতার (সংসদীয় ধারা) চূড়ান্ত পর্বের শ্রেষ্ঠ বক্তার পুরস্কারও। এছাড়াও নৈমত্তিক নাগরিক ভােগান্তি নিয়ে সচেতনতা তৈরিতে ‘ঘরের খেয়ে বনের মােষ তাড়ানাের স্বীকৃতি হিসেবে গত বছরের শেষে পেয়েছেন। ‘যমুনা টেলিভিশন দুরন্ত বাংলাদেশ’ সম্মাননা। আবদুল্লাহ আল ইমরানের স্ত্রী সানজিদা পারভীন তিনি একজন শৌখিন চিত্র শিল্পী। পেশায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা।