বেঁচে থাকাটার সংজ্ঞা নিজের কাছেই খোঁজে আনু। ড্রিম পার্কের চাকরির পাশাপাশি মাথায় এক তীব্র অসুখ নিয়ে চলছে ও। সংসার বিমুখ বাবা সোবহান খানের কেনা "স্বপ্নকুঠি" নামের বাড়িটাই ওদের সম্বল। মা হাজেরা বেগম দিন-রাত এক করে সেলাই করেন সংসার চালানোর জন্য। বোন শানু, দিপা এবং অহনাও এই যুদ্ধের বাইরে নয়। শুধু দৃষ্টিভঙ্গিটা আলাদা একেকেজনের। একমাত্র ভাই সিনহাও বাবার মতো উদাসীন। নবীনকে নিয়ে আনুর যে ভালোবাসার জগৎ, সেখানেও এক ধ্বস নামে এক সময়। নবীনের নেশার আসক্তি বাড়তে থাকে। ওদের বাবা এসব থেকে নিজেকে গা বাঁচিয়ে দূরে থাকেন।বোন দীপা নিজের পছন্দমতো বিয়ে করে বড় বোন আনুকে রেখে,বদলে যায় ওর জীবন যাপন।আনুর অসুস্থতা, মায়ের কষ্ট অহনাকে আরো পরিণত করে তোলে,দায়িত্ব বাড়িয়ে দেয়। ওদের মা আনুর অসুস্থতা সত্ত্বেও সবুজ নামের একজনের সাথে ওকে বিয়ে দেয়। একদিন অহনা জানতে পারে সবুজ একজন প্রতারক। কী করবে আনু এখন?
ওদের মায়ের মাথায় ব্রেন টিউমার ধরা পড়ে। অহনা কী পারবে একা এসব সামাল দিতে? এই শহরে বেঁচে থাকার, টিকে থাকার মূল্য কতো?