এর আগে হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল নামে এই তরিকার একটি পুস্তক লিখেছি। কিশোর-তরুণদের জন্য লেখা। বক্ষ্যমান পুস্তকটিও একই তবকার। নিজের ব্যক্তিগত চিন্তা-ভাবনা, দুর্ভাবনা, দুশ্চিন্তা, অব্যক্ত কথাÑ যেগুলো জনসম্মুখে বলি না, সেসব অকপটে বলা হয়েছে। অতি আশাবাদের কথা হলো, অদূর ভবিষ্যতে এই তবকার আরও পুস্তকাদি প্রকাশ হবে এবং সেগুলোতে স্পর্ধিত কথাবার্তার শোরগোল থাকবে আরও অধিক।
লেখালেখি আমার কাছে অত বেশি সিরিয়াস বিষয় না। মানুষের জীবন অনেক বেশি বিস্তৃত, বিশাল তার ব্যাপ্তি। সেই বিশালতার কাছে শিল্প-সাহিত্য, সুকুমারবৃত্তি, আর্ট-কালচার অনেক সময় জগদ্দল হয়ে পড়ে থাকে। তার কোনো মূল্যমান থাকে না। তবু জীবন বিউটিফুল। সেই জীবনকে পুণ্য করে তোলো। লেখা বা লেখক নিয়ে ভাবাভাবির কিছু নেই।
এ পুস্তক কাউকে কোনো পথ দেখাবে না, বিপথগামীও করবে না। এ পুস্তক সাধারণ কিছু পার্থিব অক্ষরের মধ্য দিয়ে অপার্থিব-অলৌকিক এক জীবনের কথা বলেছে। এজন্য এ পুস্তককে মসিহা মনে করার কোনো কারণ নেই। এ পুস্তক সাধারণ্যের মাঝে থেকেও এক অনন্ত পুণ্যময় জীবনের কথা বলেছে মাত্র। এ ভিন্ন আর কি-ই বা করার ছিল!
পুস্তকের জন্য শুভাশীষ!
-সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর
সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর
সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর-এর পাঠাগ্রহ মূলত ইতিহাস। ইতিহাসের রাজপথ যেমন, তেমনি অসংখ্য গলি-ঘুপচি চষে বেড়াতে ভালােবাসেন। তুলে আনতে চেষ্টা করেন ইতিহাসের আড়ালে চাপা পড়ে যাওয়া অন্য অনেক ইতিহাসকে।
আন্তর্জাতিক ধর্মদর্শন, লৌকিক-অলৌকিক ধর্ম এবং ধর্মতত্ত্ব বিষয়েও তাঁর আগ্রহ প্রবল। ঐশ্বরিক যে কোনাে জ্ঞান এবং মানবিক বিজ্ঞান তাঁকে। আলােড়িত করে। পাঠাগ্রহের কারণেই তিনি লিখেন মূলত ইতিহাস এবং ধর্মদর্শনের মিশেলে। প্রথাগত ধর্মীয় আবহের বাইরে গিয়ে নির্মাণ করার চেষ্টা করছেন নতুন এক ভাষাভঙ্গি। সাবলীল, প্রাঞ্জল আর সাহসী গদ্য দিয়ে তিনি আমাদের চেনা চিত্রকে দৃশ্যমান করেন নতুন এক উপাখ্যানের আদলে। এটাই তাঁর বিশেষত্ব।
জামেয়া কোরআনিয়া আরাবিয়া লালবাগ থেকে দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) এবং দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে অনার্স শেষ করে কর্মজীবনে। সাংবাদিকতা এবং সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বেশ কিছুদিন। বর্তমানে মুক্ত পৃথিবীর মানুষ হিসেবে একমাত্র কাজ-লেখালেখি। যা তিনি করতে ভালােবাসেন।