একজন উদ্যোক্তা, মার্কেটার, কর্মী এবং নীতি নির্ধারক উভয়ের জন্য কনটেন্ট রয়েছে বইতে। করোনাকালীন সময়ে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে সাথে নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার অভিজ্ঞতা এবং সাম্প্রতিক সময়ে ই-কমার্স সেক্টরকে ঘিরে যে অস্থিরতা তৈরী হয়েছে এই দুটো বিষয়কে অত্যন্ত কাছ থেকে দেখেছেন এবং গভীরভাবে সম্পৃক্ত থেকে পর্যালোচনা করেছেন। তারও কিঞ্চিৎ অংশ এতে উঠে এসেছে। তাই এই বইটি একদিকে অন্যকোনো বইয়ের বিকল্প নয়,
তেমনি অন্যকোনো বইও কনটেন্ট ও কনসেপ্ট এবং উপস্থাপনার দিক থেকে এই বইয়ের প্রতিস্থাপক নয়। বেশকিছু ই-কমার্স বিষয়ক বই থাকার পরও তাই নতুন এই বই লিখার কাজটা লেখক সচেতনভাবেই করেছেন। ২০১৪ সাল থেকে অনলাইনে ই-কমার্স নিয়ে লিখে আসছেন। পাঠকের অনুরোধ এবং এই খাতের সমৃদ্ধির জন্য এই বিষয়ে বই আকারে এই খাতের সমস্যা, সম্ভাবনা, কৌশল এবং কিছু কারিগরি দিক তুলে ধরেছেন। প্রাথমিক কিছু বিষয় এই সিরিজের প্রথম বইতে সংযুক্ত থাকলো এবং আরো কিছু দিক পরবর্তী প্রকাশনায় যুক্ত হবে।
জাহাঙ্গীর আলম শোভন
অষ্টম শ্রেণীতেই তার লেখা জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। বিভিন্ন পত্রিকা, ম্যাগাজিন ও অনলাইনে তার জীবনমুখী লেখা তাকে নতুন এক অবিধা দিয়েছে। ব্যবসা বাণিজ্য, পর্যটন ও লোকসাহিত্য নিয়েও তার লেখা পাঠকের প্রশংসা কুড়িয়েছ। বিষয়বস্তুর ভিন্নতা ও ও সহজ-সরস উপস্থাপনা তার লেখনীতে নিজস্বতা দিয়েছে। আছে গল্পময়তার ছাপ। বাংলাভাষায় কর্মাশিয়াল কনটেন্ট লেখনিতে তিনি একজন পথিকৃত। স্কুলজীবন থেকেই লেখালেখি, বিতর্কসহ বিভিন্ন বিষয়ে বহু পুরষ্কার পেয়েছেন। একসময় রাখালী নামে একটি লোকসাহিত্যের ছোটকাগজ সম্পাদনা করতেন।
২০১৬ সালে পায়ে হেঁটে তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ ভ্রমণ করেন। ২০১৭ সালে তিনি দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন এর বিবেচনায় দেশের ৪০ জন প্রশংসিত ব্যক্তির একজন নির্বাচিত হন। ২০১৯ সালে দেশের প্রথম ই-কমার্স সামিটে তিনি দেশ সেরা ই-কমার্স কনটেন্ট রাইটার পুরষ্কার জিতেন। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নিয়েছেন ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও ঢাকায়। প্রথাগত বিদ্যার পাশাপাশি নিজেকে গড়ে তোলার জন্য নিয়েছেন বিভিন্ন প্রশিক্ষণ। বিভিন্ন সামাজিক কর্মকা-েও রয়েছে তার সরব উপস্থিতি।
অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকুরে বাবা ও গৃহিনী মায়ের জৈষ্ঠ্য সন্তান জাহাঙ্গীর আলম শোভনের স্থায়ী নিবাস ফেনী। স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে বাস করেন ঢাকার নিকুঞ্জে।