সময় ১৯৫৬। মতিউর পড়তে যাবেন পশ্চিম পাকিস্তান বিমানবাহিনী স্কুলে। প্রথমবারের মতো আমাদের দুর্মর পাইলট চড়বেন বিমানে। জড় প্লেন সি-১৩৩ জানে না, কাকে নিয়ে টেকঅফ করবে আজ এই শেষরাতে!
মতিউরের এই উড়াল একটি নতুন ইতিহাসের জয়যাত্রার দিকে। যেখানে শত বছরের পুরোনো কাজলদীঘিতে ফুটবে টকটকে লাল শাপলা। জয়ের জন্য মুখিয়ে থাকা জাতির হাতে সোনালি বিকেলে ধরা দেবে স্বাধীনতার অনন্য ফুল।
শত্রুর ঘাঁটিতে ফেলে আসা প্রিয়মুখ মাহীন, তুহিন, মিলি। জীবন বাজি রাখা এক অবিশ্বাস্য পরিকল্পনা। মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য এক রুদ্ধশ্বাস অভিযান। উত্তেজনার পারদের বারংবার ওঠানামা। ভয়ংকর রোমাঞ্চকর এক যাত্রা। আর মাত্র মিনিট দুইয়ের দূরত্ব!
দুর্মর পাইলট সেই রুদ্ধশ্বাস ও গতিময় সময়ের উপাখ্যান।
রাহাত রাস্তি
আমার জন্ম ১২ ফেব্রুয়ারি। পরিষ্কার আকাশ রবিবার, বিকাল ৩টা । বাংলাদেশের ঋতু-পরিক্রমায় সময়টা তখন বসন্ত। আমি যখন জন্ম নিয়েই গগনবিদারী চিৎকারে জানান দিচ্ছি আমার অস্তিত্ব, ঠিক সেই মুহূর্তে পলাশ শিমুলের ডালে ওই ভয়ঙ্কর সুন্দর ফুল দেখে কার হৃদয় হাহাকারে ভরে উঠেছিল? সে কি কিছু লিখেছিল সেদিন? তার চোখে কি ছিল দুই ফোঁটা জল? আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে।