ফরেনসিক মেডিসিনের অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর হয়েও, পূর্বপুরুষের করা পাপের কারণে, আদিভৌতিক এক রহস্যময় জীবন যাপন করতে হয় খেদুমিয়াকে।
যার ফলশ্রুতিতে জড়িয়ে পড়েন বিভিন্ন প্যারানরমাল ঘটিত সমস্যার সাথে।
সায়েন্স, যুক্তি, আবেগ, প্রচলিত প্রথা সব মিলিয়ে সমাধান দাঁড় করানোর প্রচেষ্টা করেন তিনি।
ক্যারিয়ারের শুরুতেই এক অশুভ ছায়ায় ফেলোশিপ বাতিল হয়ে যায় ডা. মিতুর। জীবন এলোমেলো করে হানা দেয় ভয়ানক এক মানসিক রোগ। যাকে মেডিকেলের ভাষায় বলা হয় ডুয়েল পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার।
অপারেশান সাকসেসফুল হয়ে বাড়ী ফেরত যাওয়ার কিছুদিন পর অজ্ঞাত কারনে কয়েকজন রোগীর মৃত্যুসংবাদ পেয়ে সার্জন ব্লকে পড়েন মিতুর প্রফেসর শামস ইবনে মোহাম্মদ ডা.আলম। অন্যদিকে, অপারেশনের অপেক্ষায় আছে বিরল রোগে আক্রান্ত চেন্নাইয়ের চিকিৎসকদের কাছ থেকে ফেরত আসা ছোট্টমেয়ে দিবা।
মিতু এবং তার প্রফেসরের সার্জন ব্লকের কারন বিশ্লেষণ করে মুক্তির উপায় খুঁজতে গিয়ে খেদুমিয়া খুঁজে পান এক ভয়ঙ্কর পার্ভাটেড বা বিকৃত মস্তিষ্কের মানুষের। যে মানুষকে কঠিন শারীরিক আঘাত করে বিকৃত আনন্দ পায়।
একই সূত্রে গাঁথা রহস্যের এক নরমাল ও প্যারানরমাল সমান্তরাল এক্টিভিটি নিয়েই কাহিনী "ধূম্রজালে খেদুমিয়া "।
অসীম হিমেল
অসীম হিমেল ১৯৮১ সালে ৫ নভেম্বর গাজীপুরের কালীগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। এসএসসি, এইচএসসি, গ্রাজুয়েশন, পোস্টগ্রাজুয়েশন, বিসিএস শেষে এখন চাকুরী জীবনে। পেশায় তিনি একজন চিকিৎসক। বর্তমানে আছেন জাতীয় অর্থোপেটিক (পঙ্গু) হাসপাতালে। কর্মব্যস্ততার পর যেটুকু সময় পান সেই সময়ের মধ্যেই চলে লেখালেখি। রাত, চাঁদ ও জোছনা তার ভালোলাগে।আর এ জন্যই তার সকল লেখায় রাত, চাঁদ ও জোছনা গুরুত্ব পায়। ভালোলাগে আড্ডা ও ঘুরে বেড়ানো। তার প্রকাশিত গ্রন্থ সমূহের মধ্যে মধ্যরাতের অভিযান, জোছনায় নীল আকাশ, মেজোকুমার এক সন্ন্যাসী রাজা এবং খেদু মিয়া উল্লেখযোগ্য।